পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চানন্দের উপদেশলহরী । 8心 ভারতবর্ষের প্রতিনিধি ঘোষজ মহাশয়ও বিলাত রওয়ানা হইয়ছেন ; তিনি স্বয়ং সভ্য হইতে পারিবেন না, কারণ বিলাতের মহাসভার শাস্ত্র স্বনুসারে ভারতবর্ষ অসভ্য । তবে প্রতিনিধির উপর এই ভার দেওয়া হইয়াছে যে, তিনি "পাতি" সম্প্রদায়ের পোষকত: করিয়া যেন প্রকার স্তরে ভারতের উপকার করেন । ভারতবর্ষের প্রত্যাশা আছে যে, তাহার কথায় কাজ হইবে । সেইজন্ত সকলেই র্তাহার জয় প্রথমা, এবং সিদ্ধি কামনা করিতেছে। পঞ্চাননের আশঙ্কা এই যে, কাঠবিড়ালীর সাগরবন্ধন ত্রেতাযুগে সম্ভব এবং সত্য হইলে ও কলিকালে বুঝি তাহ খাটে না । এ আশঙ্ক যদি অমুলক মা হয়, তাহা হইলে ভারতবষের ভাবনার কথা বটে ! কিন্তু শুধু আশঙ্কার কথা বলিয়া ভয় দেখান ভালো নয, একট প্রতীকারের পন্থ ও দেখাইয় দেওয়া উচিত । পঞ্চানন্দের উপদেশ মত কাজ করিলে ভারতে প্রতিনিধি মান বাচাইয়। মান লইয়: ফিরিয়া আসিতে পারেন । সভা ভবা হইবার চেষ্ট করা বুথ, ; আর পরকে সভ্য করিয়া তাহার দ্বারা কার্য্যোদ্ধারের চেষ্টাও তদ্রুপ । অতএব সে সব উৎপাত ছাড়িয়া দিয়া যাহাতে ৮ারতবর্ষের সঙ্গে বিলতের একটা নূতন সম্বন্ধ পত্তন হয়, তাহারই উপায় অবলম্বন করাই শ্রেয়ঃ কল্প । নুতন মুম্বন্ধ নানা রকমের হইতে পারে । প্রথমতঃ —প্রতিনিধি চেষ্টা করুন, যাহাতে ভারতবর্ষের পত্তান কি তদ্রুপ অন্ত একটা স্থায়ী বন্দোবস্ত হইয়া সকল গোলযোগ জন্মের মত চুকিয়া যায়। ভারতবর্ষের শাসনপ্রণালী স্বহস্তে রাখিয়া ইংলণ্ড যে স্বার্থ সাধনের অভিপ্রায় করেন, ইহা কেহই বিশ্বাস করিৰে না ; স্থাক ভারতের উপকার করাই—ইংলণ্ডের উদ্বেগু এবং সেই উদ্বেগু সাধনের ছন্ত বহুতর ত্যাগ স্বীকার করিতে হয় বলিয়া কিঞ্চিৎ পারিশ্রমিক