পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বরূপ ইংলণ্ড অল্পস্বল্প অর্থ গ্রহণ করিয়া থাকেন মাত্র। ইহা যদি অবিসম্বাদিত সত্য হইল, তাহা হইলে একটা পাকা লেখা-পড়া করিয়া বৎসর বৎসর ইংলণ্ডকে মালিকানার টাকা কয়ট পাঠাইয়া দিবার নিয়ম করিতে থারিলে প্রতিনিধি সকল জাল চুকাইয়া আসিতে পারেন। ইংলণ্ডের ইহাতে আপত্তি না করিবারই সম্ভাবনা, এ দিকে প্রতিনিধিকে এই বন্দোবস্তের পুরস্কার স্বরূপ ভারতবর্ষের শাসনকর্তৃত্ব পদ এবং যাবজ্জীবন “খুব বাহাদুর" উপাধি দিয়া পুরস্কৃত কর। যাইতে পারে । r এক আফগানযুদ্ধের ব্যাপারটা ইহার ভিতর আসিতেছে না বলিয়া গোছারা পঞ্চানন্দের প্রস্তাবে বাধা দিতে পারেন । ফলতঃ আফগানযুদ্ধের সাধটা যদি এতই প্রবল হয়, তাহা হইলে পারস্য উপসাগর পর্য্যন্ত ইংলণ্ডের দখলে থাকিবার একটা সৰ্ত্ত লেখাপড়ার ভিতর রাখিয়া দিয়া সে বাধার অপসার করিলেই হইতে পারিবে ; এবং শেষ মহাপ্ৰলয় পৰ্য্যস্ত যুদ্ধ করিলেও ভারতবর্ষের এবং তাহার উত্তরাধিকারিগণের ও স্থলাভিষিক্তগণের তাহাতে কোন আপত্তি থাকিবেক না ; আপত্তি করিলে তাহ বাতিল ও নামঞ্জুর হইবে, এই মৰ্ম্মে একটা অঙ্গীকার রাখিয় দিলেই চলিবে । নিতান্তই যদি এরূপ বন্দোবস্ত न ईग्न, डांश इश्प्ल দিতীয়তঃ —ভারতবর্ষকে উন্নত কর, সুনীতিপরায়ণ করা, সভ্য করা, জ্ঞানী করা এবং ধাৰ্ম্মিক করাই ইংলণ্ডের অভিপ্রায় এবং সঙ্কল্প । এমত অবস্থায় খাস-দখল ছাড়িয়া দিলে ইংলণ্ডের কার্য্যকারিতার প্রতি ব্যাঘাত পড়িতে পারে। এ কথাই যদি প্রতিনিধির সম্মুখে উপস্থাপিত হয়, তাহা হইলে তিনি ইংলণ্ডের খাস-দখল ছাড়িয়া দিতে পরিবেন। সভ্য হইতে বা উন্নত হইতে ভারতবর্ষের কোনও আপত্তি নাই ; বরং সম্পূর্ণ সম্মতি আছে। যাহা কিছু আপত্তি, দক্ষিণ দিতে। ইহাই যদি