পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাবুলস্থ সংবাদদাতার পত্র। ৩ అన) অর্থাৎ রেলের গাড়ী থেকে নমিলাম। মাটীতে পা দিতে ন-দিতে একজন আসিয়া আমাকে বাকা বাক বঙ্গালা কথা কহিয়া জিজ্ঞাসা করিল—“বাবু আপনি কি’বৈদ্যনাথ দর্শন করিতে ষাবেন?” আমি বলিলাম হুঁ . তৎক্ষণাৎ আর এক ব্যক্তি আসিয়া আবার थे कशों আমাকে জিজ্ঞাসা করিল, তাহাকেও বলিলাম ই ; ,আরও লোক আসিয়া, জিজ্ঞাসা করিল, সেই এক উত্তর পাইল। সকলেই আমাকে পাইবার জন্ত ল্যগ্র । তখন আমার মনে হইল যে, আমি যে পঞ্চানন্দের কাবুলস্থ সংবাদদাতা তাহা ইহার জানিকে পরিমাছে, নাহলে এত আদর-যত্ন কেন ? আবার মনে করিলাম, তাহাঁই বা কি প্রকারে সম্ভব হইতে পাবে, তবে আমি যে একজন প্রতিভাশালী ব্যক্তি তাঙ্গ নাকি আমার চেহারা দেখিলেই জানা যায়, ( আমি অনেক বার আশীতে আমার মুখ দেখি এট। টের পাইয়াছি ) ভাই ইহার বুঝিতে পারিয়া এ প্রকার করিতেছে। তখন একটু চিত্তপ্রসাদ আপনা-আপনি হইল, মনে হইল যে, ধরাতলে আমার জন্মগ্রহণ সার্থক, তুর্লভ মানব জন্মে আমার মত ব্যক্তি আর ৪ তুর্লভ। আহলদের সঙ্গে অহঙ্কার, সেই সঙ্গে একটু অভিমান মিশিয়া আমার হৃদয়জলধি ওতপ্রোত হইতেছে ; চক্ষুদ্বয়ের কোণ দিয়া জ্যোতিষ্কণ নির্গত হইতেছে, গ্রীব একটু স্ফীত, একটু বঙ্কিম, হইয়াছে—এমন সময়ে এইভাবে একবারে চতুদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া দেধি—শু মা! গাড়ী হইতে যে নামিতেছে, তাহারই এত সন্মান, এইরূপ অভ্যর্থন!— কাহারই আদর কম নয়! কি অধঃপাত। কি দর্পহরণ! হীখ ত হইলই, লজ্জ হইল, একটু রাগও হইল। আর সেখানে না দাড়াইয়া ষ্টেশনের বাহিরে আসিয়া একখানি এক্কা লইয়৷ দেওঘর যাত্র করিলাম। পান্ধী পাওয়া যায়, রাগে লইলাম না। গরুর গাড়ী পাওই ঘড়ি, লজ্জায় লইতে পারলাম না। মনের হুঃখে এৰায় চড়িয়া