ধর্ম্মনীতি, অর্থনীতি—সমস্ত শাস্ত্র লইয়া নূতন করিয়া নাড়াচাড়া পড়িয়াছে। হায় পক্ষিতত্ত্ববিৎ, তোমারই কিছু বলিবার নাই! মুটে, মজুর, চাষা, নাবিক, অশ্বারোহী, পদাতিক, সেনা, স্কুলমাষ্টার, উকীল, ডাক্তার, সকলেরই মুখে ঐ একই শব্দ শুনা যাইতেছে—“Reconstruction”। ইংরাজ সাহিত্যিকদিগের মুখপত্র ‘এথিনিয়ম্’ মাসে মাসে Reconstruction প্রবন্ধে নিজের কলেবর পূর্ণ করিতেছে। মার্কিন যুক্ত রাজ্যের প্রেসিডেণ্ট্ উইলসন্ সাহেব, যুদ্ধাবসানে মানবসমাজের পুনর্গঠন কেমন করিয়া ন্যায় ও ধর্ম্মের উপর প্রতিষ্ঠিত হইবে, সে সম্বন্ধে সে দিন মার্কিন ধনকুবেরদিগের নিকট যে মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন সে রকম সুন্দর কথা এই বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে কোন বলদৃপ্ত শ্বেতাঙ্গজাতির মুখ হইতে নির্গত হইতে পারে, এমন কল্পনা বোধ হয় কোন ভারতবাসী কখন করেন নাই। এ সকল খবর বোধ হয় তুমি রাখ না। যে বেলজিয়মকে লইয়া প্রধানতঃ জর্ম্মানের সহিত ইংরাজের বিরোধ বাধিয়া গেল, সেই বিধ্বস্ত দেশটার কেমন করিয়া পুনর্গঠন হইতে পারে, তাহার সদুত্তর কি তুমি দিতে পার?”
পক্ষিতত্ত্ববিৎ—রাজনীতির দিক্ হইতে তোমাদের কি বলিবার আছে?
রাষ্ট্রনীতিজ্ঞ—আমাদের ’ত অনেক বলিবার আছে। কূট রাজনীতি-চক্রপেষণে যে দেশ নষ্ট হইয়াছে, সে দেশ ’ত আবার রাজনীতিজ্ঞই গড়িয়া তুলিবেন।
পক্ষিতত্ত্বরিৎ—কেমন করিয়া গড়িয়া তুলিবেন?
রাষ্ট্রনীতিজ্ঞ—দেশের রাষ্ট্রীয় সীমারেখা টানিয়া, শত্রুর নিকট হইতে indemnity লইয়া, আবার গ্রাম, নগর, ঘর, বাড়ী, বাগান, পার্ক, রেল, টেলিগ্রাফ ইত্যাদি নির্ম্মিত হইবে।
পক্ষিতত্ত্ববিৎ—পুনর্গঠন প্রসঙ্গে তোমাদের মত রাষ্ট্রনীতিজ্ঞের ’ত ঐ পর্যন্ত দৌড়? তোমরা Physics, Chemistry, অর্থনীতি,