পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১২
পাখীর কথা

পুনর্গঠনের দিনে একথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, যদিও আমাদের দেশ কৃষিজীবীর উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে, তথাপি কৃষকের সঙ্গে পাখীর সম্বন্ধ কত ঘনিষ্ঠ তাহা আমাদের কোনও রাষ্ট্রীয় অমাত্য অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বুঝিবার অথবা বুঝাইবার চেষ্টা করেন নাই। মার্কিনদেশে এই যে বালকবালিকাগণকে লইয়া পাখীর আলোচনা করা হয়, ইহা কেবল museumরক্ষিত পাখীর শব লইয়া নাড়াচাড়া করা নহে;—খাঁচার পাখীকে লইয়াও তাঁহাদের কাজ চলে না; একেবারে স্বাধীন মুক্ত বিহঙ্গকে বৈজ্ঞানিকভাবে দেখিতে ও দেখাইতে হইবে—এই উদ্দেশ্যে শিক্ষাব্যাপারে দেশের রাষ্ট্রীয় শক্তি নিয়োজিত হইয়াছে। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্যই বলুন আর দুর্ভাগ্যই বলুন, সে দিন শিমলা শৈলে, বড়লাট বাহাদুর আমাদের University Commission Report আলোচনা করিয়া বলিলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির সঙ্গে শিল্পের উন্নতি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, অতএব নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দেশের ভাবী industryর উন্নতির কথা চিন্তা করিতে হইবে, কারণ এ যুগ industryর যুগ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির সঙ্গে মুখ্যভাবে কৃষিবিদ্যার সম্বন্ধ স্পষ্টতঃ উল্লেখ করেন নাই; সুতরাং কৃষিবিদ্যার উন্নতিকল্পে যে যে উপায় অবলম্বিত হওয়া উচিত, অন্ততঃ আধুনিক পাশ্চাত্য জগতে ঐ উদ্দেশ্যে যে যে উপায় অবলম্বিত হইয়াছে ও হইতেছে, সে সমস্ত প্রসঙ্গ আদৌ উত্থাপিত হইল না। শিল্পজীবী মার্কিন যখন কৃষিবিদ্যার উন্নতির কথা ভাবিতেছে, কৃষিজীবী ভারতবর্ষ কৃষিবিদ্যায় কোনও প্রকার উন্নতি সাধনের চেষ্টা না করিয়া শিল্পোন্নতির স্বপ্ন দেখিতেছে।

 কিন্তু আমরা বিহঙ্গাশ্রমের কথা বলিতেছিলাম। State পাখীর জন্য স্বতন্ত্র বাগানের ব্যবস্থা করিয়া দিলেন; দেশের লোক নানাজাতীয় পাখীর আনাগোনা, চলাফেরা, স্নান, আহার, নিদ্রা প্রভৃতি