পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
পাখীর কথা

সমস্ত মানবসভ্যতা কি অন্য কোনও প্রকারে ঋণী নহে? যে পাখী লইয়া এতদিন আমরা নাড়াচাড়া করিয়া আসিতেছি, তাহা সাধারণ Biology অথবা জীবতত্ত্ব বিষয়ে আমাদের জ্ঞান কতটা প্রস্ফুট করিয়া সভ্যজগতের চিন্তার ধারাকে বহুধা প্রসারিত করিয়া দিয়াছে, সে কথা না হয় এখন নাই তুলিলাম; কিন্তু মানব-সভ্যতার ইতিহাস হইতে তাহা যদি বাদ পড়িয়া যায়, তাহা হইলে সে কাহিনী অসম্পূর্ণ থাকিয়া যাইবে। আর এক কথা এই যে, বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখাপ্রশাখার সঙ্গে বিহঙ্গতত্ত্ব ঘনিষ্টভাবে সম্বদ্ধ। সম্প্রতি এক জন পাশ্চাত্য লেখক একখানি পক্ষিতত্ত্ববিষয়ক পত্রিকায়[১] এইরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন:—Our science is capable of indefinite expansion, and by no means limited to the mere keeping of live birds. The study of living creatures is of the greatest service not only to the arts ancillary to zoology (such as taxidermy) but also to remoter pursuits, such as agriculture and medicine.—পাঠক লক্ষ্য করিয়া দেখিবেন যে, এই সম্পাদকীয় মন্তব্যে Science শব্দটা পরিষ্কার ব্যবহৃত হইয়াছে; এবং লেখক মহাশয় বলিতে চাহেন যে, অন্যান্য exact scienceএর সহিত aviculture সম্পর্ক পাতাইয়া বসিয়াছে; এমন ভাবে বসিয়াছে যে, পাখীকে ভাল করিয়া না জানিলে আরও কয়েকটী বিদ্যা অসম্পূর্ণ থাকিয়া যায়। কথাটা খুব বড়, কিন্তু বৈজ্ঞানিক পক্ষিতত্ত্ববিৎ অকুণ্ঠিতভাবে ইহা প্রচার করিতেছেন। মনে রাখিতে হইবে যে রীতিমত খাঁচায় পুরিয়া পক্ষিপালন প্রথা ধারাবাহিকভাবে এতদিন ধরিয়া উন্নতির সোপান হইতে সোপানান্তরে অগ্রসর হইয়া না চলিলে তিনি এত জোর করিয়া এ কথা বলিতে

  1. Dr. Graham Renshaw in Avicultural Magazine vol. ix. No. 4 (Feb. 1918), p 136.