পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় ভাগ
১১৯

পারিতেন না। বর্ণসাঙ্কর্য্যের ভিতর দিয়া পক্ষিপালক যে নূতন নূতন তথ্যে উপনীত হইতেছেন, তাহা দেখিলে ধারণা করিতে পারা যায় কেমন করিয়া art সময়ে সময়ে natureকে ছাড়াইয়া নব নব সৌন্দর্য্যে প্রকটিত হইতে পারে। কতকটা কৃত্রিম বলিয়া ইহাকে উড়াইয়া দিলে চলিবে না। ভাবিয়া দেখিতে হইবে যে, মুক্ত প্রকৃতির মধ্যে তাহার জীবনের বহুযুগব্যাপী ইতিহাসে এইরূপ কত পরিবর্ত্তনের মধ্য দিয়া পাখীকে চলিয়া আসিতে হইয়াছে; পক্ষিজাতির উদ্ভবের প্রথম অবস্থায় যখন সবে মাত্র তাহার অবয়বে পতত্রের সূচনা হইয়াছিল, তখন হইতে সেই পতত্রের ও তাহার বর্ণের নব নব উন্মেষ যে হইয়া আসিয়াছে সে সম্বন্ধে কোনও সন্দেহ হইতে পারে না; এমন কি কোনও কোনও পণ্ডিত এ বিষয়ে স্থির নিশ্চয় করিয়া বসিয়াছেন যে, পতত্রের গঠন ও বর্ণের বৈচিত্র্য ও পরিবর্ত্তন পরে পরে যুগযুগান্তরব্যাপী বিবর্ত্তনের ফলে কি ভাবে হইয়া আসিয়াছে, তাহা অনেকটা ঠিক বলা যাইতে পারে। তাঁহাদের সেই সকল উক্তির মধ্যে যাহা কিছু ইতরবিশেষ আছে, তাহা লইয়া তাঁহারা বাগ্‌বিতণ্ডা করুন; যতদিন না পণ্ডিত সমাজ এ বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে একমত হইতে পারেন, ততদিন এই কূট তর্ক চলিতে থাকুক; একদিন আমরা অবশ্যই অবিসংবাদী সত্যে উপনীত হইব। তবে এক বিষয়ে সকলেই একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন;—সেটি এই যে, যে কোনও কারণেই হউক বিহঙ্গজাতির ক্রমবিকাশে বহুল পরিমাণে বর্ণের ও অবয়বের variation হইয়া আসিয়াছে। আপাততঃ এইটুকু মাত্র স্বীকার করিয়া লইলে আমরা এই নবীন আশ্রমবাদীদিগের একটা সন্দেহ নিরাকরণ করিতে পারি। ইহাদের অনেকের বিশ্বাস যে, কেবল আবদ্ধ অবস্থায় পাখীর বর্ণবিপর্য্যয় ঘটিয়া থাকে; প্রকৃতির মুক্তপ্রাঙ্গণে বনে জঙ্গলে, স্বাধীন অবস্থায় এরূপ হওয়া সম্ভবপর নহে। আধুনিক-