পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় ভাগ
১৫১

রূপে ময়ূরের গলিতবর্হের ব্যবহারের উল্লেখ আছে বটে, কিন্তু মনুষ্যসমাজে অতি প্রাচীনকাল হইতে ইহার ব্যবহার বড় কম দেখা যায় না। ভারতবর্ষে ময়ূরপুচ্ছের আদর এখনও যথেষ্ট আছে; কিন্তু এই পুচ্ছ আহরণের নিমিত্ত জীবহিংসা না করিয়া কেবলমাত্র স্বয়ংস্খলিত বর্হের ব্যবহারই অনুমোদিত হয়। এখনও আর্য্যাবর্ত্তে ময়ূর পবিত্র জীব বলিয়া পরিগণিত। জ্যর্ডন (Jerdon) তাঁহার Birds of India নামক গ্রন্থে লিখিতেছেন[১]

 “It is venerated in many districts. Many Hindoo temples have large flocks of them; indeed, shooting it is forbidden in some Hindoo States.”

 কচ্, রাজপুতনা প্রভৃতি ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল প্রদেশসমূহে বন্য ময়ূর অধিক সংখ্যায় দেখা যায় বটে; কিন্তু গৃহপালিত ভবনশিখীর সংখ্যাও বড় কম নয়। এমন কি, যেখানে স্বাধীন বন্য অবস্থায় ইহাদিগকে দেখিতে পাওয়া সম্ভবপর নহে, সেখানেও গৃহস্থেরা তাহাদিগকে পোষ মানাইয়া রাখে; কখনও কখনও বা তাহারা কোন বিশিষ্ট গৃহস্থ কর্ত্তৃক পালিত না হইয়া দলে দলে নগর মধ্যে স্বচ্ছন্দ জীবন যাপন করিতে পায়। এই গৃহপালিত ময়ূরগণ প্রায়ই মেঘদূতের নেত্রপথবর্ত্তী হইতেছে। অলকায় অশোকবকুল-তলে ভবনশিখীর জন্য বাসযষ্টি রচিত রহিয়াছে—

তন্মধ্যে চ স্ফটিকফলকা কাঞ্চনী বাসযষ্টি-
র্মূলে বদ্ধা মণিভিরনতিপ্রৌঢ়বংশ-প্রকাশৈঃ॥

 অশোক ও বকুল বৃক্ষের মধ্যে এক সুবর্ণনির্ম্মিত বাসযষ্টি আছে, যাহার তলদেশ তরুণ বংশের ন্যায় প্রভাবিশিষ্ট মণিদ্বারা বদ্ধ এবং যাহার উপরিভাগে একটি স্ফটিক-ফলক স্থাপিত আছে।

    the other feathers about September in Northern India, and the new train is not fully grown up till March or April.”—Blanford.

  1. Vol. III., p 507.