পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম ভাগ

থাকিবে। সূর্য্যের তীব্র কিরণ যেন তাহার মধ্যে কখনও প্রবিষ্ট হইতে না পারে। * * * * অথবা যদি উহাদিগকে ভূগৃহে রাখিতে হয়, তাহা হইলে ভূগৃহটী রম্য, প্রশস্ত, সুগন্ধযুক্ত ও বিশুদ্ধ বায়ু-সঞ্চারিত হওয়া আবশ্যক। এরূপ স্থানে অনেকগুলি পক্ষী একত্র রাখিবে না; দুইটি কিংবা তিনটিকে পৃথক্ পৃথক্‌ রাখিবে।’

 পক্ষীদিগের খাদ্যাদি সম্বন্ধে লিখিত আছে—

“বাজাদিকলবিঙ্কাদের্মাংসংনাতিচিরস্থিতম্।
লঘু রুচ্যং প্রদাতব্যং যথা পরিণমেত্তথা
পুষ্ট্যৈ প্রবর্দ্ধয়েদেষাং মাত্রামথ শনৈঃ শনৈঃ।
স্নানার্থং বারিপূর্ণাশ্চ স্থাপয়েৎ কুণ্ডিকাঃ পুরঃ
৫ম পরিচ্ছেদ, ২৪-২৬ শ্লোক।

 ‘কলবিঙ্কাদি পক্ষীর সদ্য অচিরস্থিত মাংস এবং লঘু রুচিকর ও সহজে হজম হয় এরূপ খাদ্য উহাদিগকে প্রদান করিবে। উহাদিগের পুষ্টির জন্য আহারের পরিমাণ ক্রমশঃ বৃদ্ধি করিতে হইবে। স্নানার্থ উহাদের সম্মুখে জলপাত্র রক্ষা করিবে।’

 এমন কি, উক্ত গ্রন্থে শ্যেন পক্ষীর শারীরিক পীড়ানাশক বিবিধ ঔষধের ব্যবস্থা করা হইয়াছে। পক্ষিপালনাভিজ্ঞ ব্যক্তিমাত্রেই বিদিত আছেন যে, বর্ষাঋতুর অভ্যুদয়ে যখন পক্ষিগণের পুরাতন পক্ষসমূহ পতিত হইয়া ক্রমশঃ নূতন পালক উদ্গত হয়, তখন তাহারা অসুস্থতা-নিবন্ধন নিস্তেজ হইয়া পড়ে। এজন্য যাহাতে অল্প সময়ের মধ্যে সুশৃঙ্খলায় পতত্রিগণের নূতন পক্ষের উদ্গম হয়, এইরূপ প্রণালী অবলম্বন করা আবশ্যক। গ্রন্থকার কুমাউনরাজও যে তৎকালে এই বিষয়ে অনভিজ্ঞ ছিলেন না, তাই আমরা এই শ্লোক হইতে জানিতে পারি—