পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পাখীর খাঁচা

 বিহঙ্গতত্ত্ববিদ্ পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ পাখীদিগকে পিঞ্জরে রাখিয়া যে ভাবে ও যে উদ্দেশ্যে পালন করেন তাহা একেবারে নূতন। স্বাধীন অবস্থায় পাখীরা যে ভাবে থাকে—উহাদের উপযোগী খাদ্যাদি, রৌদ্রের উত্তাপ, বিশুদ্ধ বায়ু,Aviculture কাহাকে বলে পানীয় জল, অতিরিক্ত তাপ এবং ঝড়বৃষ্টি হইতে রক্ষা করিবার জন্য আচ্ছাদিত স্থান প্রভৃতি প্রাণধারণের অত্যাবশ্যক সামগ্রীগুলি উহাদিগকে সুপ্রণালীতে উপভোগ করিতে দিয়া যাহাতে পাখীগুলি আপনাদিগের আবদ্ধ জীবনের ক্লেশ অণুমাত্র অনুভব করিতে না পারে, তাহাই পণ্ডিতগণ প্রথমে বিশেষভাবে করিয়া থাকেন। পাখীগুলিও এই প্রকারে পালকদিগের যত্নে রক্ষিত হইয়া, মনের আনন্দে গান গাহিয়া পুচ্ছ দোলাইয়া পিঞ্জরের মধ্যে উড়িয়া বেড়ায়; পরে যথাসময়ে মনোমত পত্নী-সহযোগে শাবকোৎপাদন করিয়া আপনাদের জীবন সুখময় করিয়া তোলে। এই প্রণালীতে পক্ষিপালনই য়ুরোপে Aviculture নামে অভিহিত হয়। এই Aviculture বা পক্ষিপালনপ্রণালী কিরূপে মানবের বৈজ্ঞানিক চেষ্টাকে সফলতাভিমুখে লইয়া গিয়াছে, কেমন করিয়া প্রকৃতির নানা গোপন জীবরহস্যের প্রতি নূতন আলোকরশ্মি নিক্ষেপ করিতেছে, তাহার কিঞ্চিৎ আভাস আমরা ক্রমশঃ দিতে চেষ্টা করিব।

 পালন-ব্যাপারে সার্থকতা লাভ করিতে হইলে, কতকগুলি উপকরণের একান্ত প্রয়োজন। এই উপকরণগুলি সংগ্রহ করা পালকের পক্ষে যেরূপ বাঞ্ছনীয়, বিহঙ্গগুলির স্বাভাবিক অবস্থাউপকরণ-সংগ্রহ ও অভিজ্ঞতালাভ সম্বন্ধে জ্ঞান-সঞ্চয়ও সেইরূপ কতকটা আবশ্যক; কারণ, এরূপ জ্ঞান না থাকিলে আবদ্ধাবস্থায় পক্ষিগণের উপযোগী আহারাদি প্রদানের অভাবে