পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নিবেদন

 “পাখীর কথা” প্রকাশিত হইল। এতদিন যে কথাগুলি বিক্ষিপ্তভাবে নানা মাসিক পত্রিকার পত্রান্তরালে ছড়াইয়া ছিল, আজ সেগুলিকে যথাসম্ভব পরিশােধিত ও কিঞ্চিৎ পরিবর্দ্ধিত করিয়া একত্র গ্রথিত করিলাম। বিগত ৺ শারদীয়া পূজার সময় গ্রন্থখানি বাহির হইবার কথা ছিল, কিন্তু নানা কারণে তাহা ঘটিয়া উঠিতে পারে নাই।

 বর্ণিত বিষয়গুলিকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হইয়াছে; ইহাদের মধ্যে কোনও ভাগ বাদ পড়িলে “পাখীর কথা” অসম্পূর্ণ থাকিয়া যাইত। প্রথম ভাগে খাঁচার পাখীকে ভাল করিয়া দেখিবার চেষ্টা করা হইয়াছে; তাহার কারণ এই যে আমরা সাধারণতঃ পােষাপাখীর সঙ্গে অনেকটা পরিচিত। সেই পরিচয়টিকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত করা আমার উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় ভাগে পাখীর সঙ্গে মানুষের আনন্দ-সম্পর্ক ছাড়া যে আর একটা সম্পর্ক আছে, যেখানে উভয়ে পরস্পরের জীবনযাত্রার সহায়ক অথবা বিরােধী হইতে পারে, সেই utilityর দিক হইতে বিহঙ্গতত্ত্ব আলােচনা করিবার প্রয়াস পাইয়াছি। আধুনিক পক্ষিবিজ্ঞানের এই অঙ্গটাকে পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা Economic Ornithology আখ্যা দিয়াছেন। বােধ করি বাঙ্গালা সাহিত্যে এই অভিনব আলােচনা আজিকার দিনে বিফল হইবে না। পুস্তকের তৃতীয় ভাগে মহাকবি কালিদাসের ভারতবর্ষীয় বিহঙ্গজাতির সহিত কিরূপ পরিচয় ছিল তাহা ভাল করিয়া দেখাইবার চেষ্টা করা হইয়াছে।

 পরম পূজনীয় মহামহােপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এম্-এ, সি-আই-ই, মহাশয় পুস্তকের ভূমিকা লিখিয়া দিয়া আমাকে চির-