পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
পাখীর কথা

যে, অভ্যন্তরস্থ দুইটি প্রাচীর ছাদ পর্য্যন্ত না পঁহুছাইয়া মধ্যপথে শেষ হইয়া গেল। ছাদের নিম্নে সমস্ত খাঁচাটার মধ্যে একটা পাখীর চলাফেরার সুবিধামত অবারিত মুক্ত পথ থাকিয়া গেল। দুই পার্শ্বের কামর দু’টিতে একজাতীয় দুইটি পুংপক্ষীকে রাখা হইল। যাহাতে তাহারা সমস্ত খাঁচার মধ্যে ইচ্ছামত উড়িতে না পারে, এবং তাহাদের কামরার প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করিয়া কোটর হইতে কোটরান্তরে যাতায়াত কৃরিতে না পারে, সেইজন্য তাহাদিগের পক্ষচ্ছেদন করা হয়;—এক পার্শ্বের ডানার কতকগুলি পতত্র ছেদন করিলেই উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়। সাধারণতঃ মাঝের কামরায় স্বচ্ছন্দবিচরণশীল পক্ষিণী রক্ষিত হয়। এস্থলে লক্ষ্য করিতে হইবে যে, তিনটি পাখীই একজাতীয়। পুরুষ দুইটির বর্ণের অল্পবিস্তর তারতম্য আছে। কিয়ৎকাল অবস্থানের পর প্রায়ই দেখা যায় যে, পক্ষিণী নিজের কামরা পরিত্যাগ করিয়া অপেক্ষাকৃত অধিক রূপবান্ পক্ষীটির সহিত মিলিত হইবার জন্য স্বেচ্ছায় তাহার কামরায় প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে অবশ্যই পক্ষিণীকে পাইবার জন্য পুংপক্ষিদ্বয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও জয়-পরাজয়ের কোনও অবকাশ দেওয়া হয় নাই। এইরূপে একশ্রেণীর পক্ষিপালক ornithology’র দিক্ হইতে ডারউইনীয় নৈসর্গিক নির্ব্বাচন-তত্ত্বের যাথার্থ্য প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করেন; কিন্তু এখনকার পক্ষিবিজ্ঞানে নিঃসংশয়রূপে কেহই জোর করিয়া বলিতে পারেন না যে, পুংপক্ষীর শারীরিক সৌন্দর্য্য ও যৌননির্ব্বাচনের মধ্যে এতটা ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে। পক্ষিণীর এমন সূক্ষ্ম সৌন্দর্য্যবোধ থাকিতে পারে কি না সে সম্বন্ধে যথেষ্ট মতদ্বৈধ রহিয়াছে[১]। পক্ষিণীকে পাইবার জন্য

  1. “Many writers seem to find a difficulty in imagining that the female sex among birds is sufficiently endowed mentally to possess the requisite æsthetic sense, and, indeed, evidence that