বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাখী - জগদানন্দ রায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fir†ချဲ তোমাদের দু’খানা হাত যদি পিছনে লইয়া গিয়া দড়ি দিয়া বাধিয়া রাখা যায়, তখন তোমাদের অবস্থা কি-রকম হয় একবার ভাবিয়া দেখ। তখন তোমরা পা দিয়া হাটিতে পরিবে, কিন্তু হাত দিয়া কোনো জিনিসই। ধরিতে পরিবে না ; সম্মুখে বেশ ভালো খাবার দিলে তোমরা তাহা মুখে তুলিতে পরিবে না । ভয়ানক মুস্কিল হইবে। খুব ক্ষুধা পাইলে ঘাড় নীচু করিয়া থালা হইতে খাবার মুখে পুরিতে হইবে। পাখীদের সম্মুখের পা দু’খানা ডানার আকারে আছে বলিয়া তাহারা কাঠ-বিড়ালের মতো খাবার পায়ে করিয়া মুখে পুরিতে পারে না । খাবার খাইবার সময় হাত-বাধা মানুষের মতোই ইহাদিগকে মাথা হেঁট করিয়া ঠোঁট দিয়া খাবার খাইতে হয় । তোমরা বোধ হয় ভাবিতেছ, এইরকমে খাবার খাইতে বুঝি পাখীদের খুব কষ্ট হয়। কিন্তু তাহা হয় না—সহজে মাটি হইতে খাবার। খুটিয়া খাইবার জন্য ইহাদের গলা । খুব লম্বা থাকে, তাই মাথা হেটু করিতে ইহাদের কোনো ! কষ্ট হয় না। গলাতে পালক লাগানো থাকে বলিয়া তোমরা পাখীদের সরুগলা দেখিতে পাও না। যে-সব পাখীর পা লম্বা, তাহাদের গলাও খুব লম্বা হয়। গলা লম্বা না হইলে তাহারা মাটি হইতে খাবার উঠাইয়া খাইতে পারে না ।