পাতা:পাখী - জগদানন্দ রায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ☎t†ဒိချဲ হাড়গিলা ও সারসদের পা লম্বা, তাই তাহদের গলাও ৷ খুব লম্বা । পার্থীদের শরীরটা কি-রকম তোমরা লক্ষ্য করিয়াছ কি ? ইহা যেন নৌকার মতো লম্বা । বাতাসের ভিতর দিয়া সহজে উড়িবার জন্যই শরীরের গড়ন এইরকম হইয়াছে। নৌকা যেমন দাড়ের জোরে জল কাটিয়া সম্মুখে চলে, পাখীরাও সেইরকম ডানার জোরে বাতাস কাটিয়া শূন্যে উড়িয়া বেড়ায়। পাখীদের গড়ন নৌকার মতো না হইয়া যদি কচ্ছপদের মতো গোলাকার বা গরু ও ছাগলের মতো চওড়া হইত, তাহা হইলে উহারা কখনই বাতাস কাটিয়া সহজে উড়িতে পারিত না । ] পাখীদের মাথাগুলি শরীরের তুলনায় কত ছোটো একবার ভাবিয়া দেখা । মাথাগুলি গরু বা ঘোড়ার মাথার মতো বড় হইলে উড়িবার সময়ে তাহদের কি মুস্কিলই হইত ! তখন মাথা লইয়াই তাহাদিগকে ব্যস্ত থাকিতে হইত। ঠোঁট পাখীদের বড় কাজের জিনিস। ইহা দিয়াই রািঘমাটি হইতে খাবার খুটিয়া খায় এবং দরকার হইলে ঠোটো করিয়াই খাবার বহিয়া আনে। তার পরে কোনো শক্রির উৎপাত হইলে ঠোঁট দিয়া ঠাকুরাইয়া শক্ৰদের