অর্জ্জুন বলেন তুমি রহ মম কাছে।
দাড়াইয়া নির্ভয়ে দেখেই রহি পাছে॥
কৃষ্ণ বলিলেন দ্বিজ অপূর্ব কাহিনী।
একা তুমি কি করিবে লক্ষনুপমা
অর্জন বলেন হাসি দেখ গুণবতি।
একা আমি বিনাশিৰ সব নরপতি॥
একার প্রতাপ তুমি না জান সতি।
একা সিংহে নাহি পারে অজার সংহতি!
গরুড় একেশ্বর সকল পক্ষী নাশে।
একেশ্বর পুরন্দর দানব বিনাশে।
এক ব্যাঘ্রে কি করিবে লক্ষ মৃগ ক্ষুদ্রে।
একা শেষ বিষধর মথিল সমুদ্র।
এক হনুমান যেন হিলেক লঙ্কা।
সেই মত নৃপগণে নাশিৰ কি শঙ্কা
এত পলি অর্জ্জুন কৃষ্ণারে আশ্বাসিয়া
ধনুন সন্ধান করেন টঙ্কারিয়া
তবেতপদ রাজা পুত্রসমুদিত।
ধৃষ্টদ্যুম্ন শিখুঙী সহিত সত্যজিত।
মুহূর্তে যুদ্ধ করি নারিল সহিতে।
ভঙ্গ দিয়া সসৈন্যে পায় চতুর্ভিতে।
একেশ্বর অক্ষনে বেড়িল পগণ।
দেখি ওষ্ঠ কামড়ায় পবননন্দন।
অনুমতি লইতে রাজার পানে চায়।
দেখিয়া সল্পত হইলেম ধর্ম্মারায়॥
মুধিষ্ঠির বলিলেন অনর্থ হইল।
এক লক্ষ রাজা একা অর্জ্জুরে বেঙিল॥
পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১০০
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্রৌপদীস্বয়ম্বর।
৯১