শীঘ্র যাহ ভীমসেন আলহ অর্জ্জুনে।
ধন্দ করি কিন্তু মাহি প্রয়োজনে
পাইয়াজ্যেষ্ঠের আজ্ঞা খায় বৃকোদর।
উপসিয়া নিল এক দীর্ঘ তরুবর॥
অতি দীর্ঘ তরু এক নিষ্পত্র করিয়া।
বায়ুবেগে সৈন্যমধ্যে প্রবেশিল গিয়া॥
ক্ষগণচেষ্টা,দেখি ক্রোধে জিগণ।
পাছে পাছে ভীমের খইল সৰঞ্জন॥
হের দেখ ক্ষত্রিয় পাপিয় দুরাচার।
সভামধ্যে দ্বিজ বিক্ষিন আমার॥
লক্ষ যিন্ধিবারে শক্তি মহিলথন।
এবে কর্ঘ করে বলকিসের কারণ॥
এমন অন্যায় বল কার প্রাণে সয়।
যুদ্ধ কৰি প্রাণ দিব লাহিক সংশয়॥
মরিব মরিব আজি করিব সমর।
হেন কর্ম সহিবে কাহার কলেবর॥
এত বলি নিজ নিজ দ লয়ে করে।
মৃগচর্ম দৃঢ় কৰ্বি বান্ধি কলেবরে॥
লক্ষ লক্ষ ব্রাহ্মণ ধাইল বায়ুবেগে।
হুহুঙ্কার করিয়া নৃপতিগণ আগে॥
দেখিয়া বলেন পার্থ করি কৃতাঞ্জলি।
মাথায় লইয়া ধিগণপদধূলি॥
তোমরা আইলা দ্বন্দ্বে কিসের কারণ।
দাড়াইয়া কৌতুক দেখহ সজন॥
যাহারে করিবা ভস্ম মুখের বচনে।
জাহার সহিত স্বচ্ছ নহে্ সুশোভয়ে॥
পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১০১
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
মহাভারত।