জঙ্কগণ মধ্যে যে কালাগুক যম।
ইন্দ্রের নন্দন বীর ইন্দ্রপরাক্রম॥
বৃক্ষ যেন বৃষ্টিধারা মাথা পাতি লয়।
তাদৃশ অর্জনঅঙ্গে বাণবৃষ্টি হয়॥
অপূৰ্ব সমর দেখি যতেক অমর।
অর্জ্জুন কারণ হৈলা চিন্তিত অন্তর॥
একা পার্থ শত শত বেড়িল বিপক্ষ।
হাতে আছে তিন অস্ত্র বিন্ধিবারে লক্ষ্য
পুত্রের সাহায্য হেতু দেবরাজ তূর্ণ॥
পাঠাইয়া দিলা তুণ অস্ত্রগণপূর্ণ
বৈজয়ন্তী মালা ইন্দ্র দিলেন প্রসাদ॥
অর্জন হইয়া হৃষ্ট ছাড়ে সিংহনাদ
টারিয়া ধনুক এজেন অস্ত্রগণ॥
নিমিষেকে শরবৃষ্টি করেন বারণ!
যেন মহা বাতাসে উড়ায় মেঘমালা॥
সমুদ্রলহরী যেন সংহারয়ে ভেলা
দাবাগ্নি নিবৃত্ত যেন হয় বৃষ্টি করে॥
নিমিষে করেন পার্থশস্তি সে সকলে।
প্রলয়ের কালে যেন উথলে সাগর॥
মার মার শব্দে ডাকে যত নৃপষর।
চতুর্দিকে সবাকার মুখে এই রব।
ব্লহ রহ দুষ্টমতি জিগণ সব॥
সিংহনাদ শখনাদ মুখে ঘোর নাদ।
শুমিয়া ব্রাহ্মণগণে গণিল প্রমাদ॥
যুধিষ্ঠিরে চাহিয়া বলয়ে দ্বিজ সব।
দেখ হের অন্তে যেন উথলে অর্ণব॥
পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১০৪
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্রৌপদীস্বয়ম্বর।
৯৫