নিমিত্ত স্বীয় সহচরকে বারংবার অনুরোধ করিতে লাগিলেন; কিন্তু সেই বালক কোন ক্রমেই তাঁহার বাসনা পূর্ণ করিল না। ফলতঃ, তাঁহাকে সর্ব্বদাই এইরূপে কৌতুহলাক্রান্ত ও পরিশেষে একান্ত বিষাদ প্রাপ্ত হইতে হইত।
এইরূপে যৎপরোনাস্তি ক্ষোভ প্রাপ্ত হইয়া, এতাদৃশ ক্ষুণ্ণ অবস্থায় থাকিয়াও, তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিলেন যত কষ্টসাধ্য হউক না কেন, যেরূপে পারি, লেখা পড়া শিখিব। এইরূপ অধ্যবসায়ারূঢ় হইয়া, সে কিছু অর্থ তাঁহার হস্তে আসতে লাগিল, প্রাণপণে তাহা সঞ্চয় করিতে লাগিলেন এবং তাহা দিয়া সন্তষ্ট করিয়া বয়েবিক বালকদিগের নিকট বিদ্যা শিক্ষা আরম্ভ করিলেন।
ডুবাল, কিছু দিনের মধ্যেই অসম্ভব পরিশ্রম দ্বারা আপন অভিপ্রেত এক প্রকার সিদ্ধ করিয়া, ঘটনাক্রমে এক দিবস এক খানি পঞ্জিকা অবলোকন করিলেন। ঐ পঞ্জিকাতে জোতিশ্চক্রের দ্বাদশ রাশি চিত্রিত ছিল। তিনি তদ্দর্শনে অনায়াসেই স্থির করিলেন যে, এই সমস্ত আকাশমণ্ডলস্থিত পদার্থ বিশেষের প্রতিমূর্ত্তি হইবেক, সন্দেহ নাই। অনন্তর ঐ সকল প্রত্যক্ষ করিবার নিমিত্ত, একদৃষ্টিতে নভোমণ্ডল নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন এবং সেই সমুদায় দেখিলাম বলিয়া যাবৎ তাঁহার অন্তঃকরণে দৃঢ় প্রত্যয় না জন্মিলে, তাবৎ তিনি কোন মতেই ক্ষান্ত হইলেন না।
কিয়ৎ দিন পরে তিনি একটা কোন মুদ্রাযন্ত্রালয়ের গবাক্ষের নিকট দিয়া গমন করিতে করিতে তন্মধ্যে এক ভূগোল চিত্র দেখিতে পাইলেন। উহা পূর্ব্বদৃষ্ট সমস্ত বস্তু অপেক্ষায় উপাদেয় বোধ হওয়াতে তিনি তৎক্ষণাৎ ক্রয় করিয়া লইলেন এবং কিয়ৎ দিবস পর্যন্ত, অবসর পাইলেই, অনন্যমনা ও অনন্যকর্ম্মা হইয়া কেবল তাহাই পাঠ করিতে লাগিলেন। নাড়ীমণ্ডলস্থিত অংশ সকল অবলোকন করিয়া প্রথমতঃ ঐ সমস্তকে ফ্রান্স প্রচ-