করিতে পারিব, এই আহলাদে বিরলকৃত ক্ষতক্লেশ একবার মনেও করিলেন না।
ডুবাল বন্য জন্তুর উদ্দেশে সর্ব্বদাই এইরূপ সঙ্কটে প্রবৃত্ত হইতেন এবং লুনিবিলে গিয়া সেই সেই পশুর চর্ম্ম বিক্রয় দ্বারা অর্থ সংগ্রহ করিয়া পুস্তক ও ভূচিত্র ক্রয় কয়া আনিতেন।
পরিশেষে এক শুভ ঘটনা হওয়াতে অনেক পুস্তক সংগ্রহ করিতে পারিলেন। এক দিবস শরৎকালে অরণ্য মধ্যে ভ্রমণ করিতে করিতে সম্মুখবর্ত্তী শুষ্ক পর্ণরাশিতে আঘাত করিবামাত্র ভূতলে কোন উজ্জ্বল বস্তু অবলোকন করিলেন এবং তৎক্ষণাৎ হস্তে লইয়া দেখিলেন উহা স্বর্ণময় মুদ্রা, উহাতে উওমরূপে তিনটি মুখ উৎকীর্ণ আছে। ডুবাল ইচ্ছা করলেই ঐ স্বর্ণময় মুদ্রা আত্মসাৎ করিতে পারিতেন। কিন্তু তিনি পরের দ্রব্য অপহরণ করা গর্হিত ও অধর্ম্মহেতু বলিয়া জানিতেন, অতএব পর রবিবারে লুনিবিলে গিয়া তত্রত্য ধর্ম্মাধ্যক্ষের নিকট নিবেদন করিলেন মহাশয়! অরণ্যমধ্যে আমি এক স্বর্ণ মুদ্রা পাইয়াছি। আপনি এই ধর্ম্মালয়ে ঘোষণা করিয়া দেন, যে ব্যক্তির হারাইয়াছে, তিনি সেণ্ট এনের আশ্রমে গিয়া আমার নিকট আবেদন করিলেই আপন বস্ত্র প্রাপ্ত হইবেন।
কয়েক সপ্তাহের পর ইংলও দেশীয় ফবষ্টর নামে এক ব্যক্তি অশ্বারোহণে সেণ্ট এনের আশ্রমদ্বারে উপস্থিত হইয়া ডুবালের অন্বেষণ করিলেন এবং ডুবাল উপস্থিত হইলে জিজ্ঞাসিলেন তুমি কি এক মুদ্রা পাইয়ছ? ডুবাল কহিলেন হাঁ মহাশয়! তিনি কহিলেন আমি তোমার নিকট বড় বাধিত থাকিলাম, সে আমার মুদ্রা। ডুবাল কহিলেন কিঞ্চিৎ অপেক্ষা করিতে হইবেক; অগ্রে আপনি অনুগ্রহ করিয়া কুলাদর্শানুযায়ী ভাষায় নিজ অভিজাতিক, চিহ্ন বর্ণন করুন, তবে আমি আপনাকে মুদ্রা দিব। তখন সেই আগন্তুক কহিলেন অহে বালক! তুমি আমাকে পরিহাস