করিতেছ, কুলাদর্শের বিষয় তুমি কি বুঝিবে। ডুবাল কহিলেন সে যাহা হউক আপনি নিজ অভিজাতিক চিহ্নের বর্ণন না করিলে মুদ্রা পাইবেন না।
ডুবালের নির্বন্ধাতিশয় দর্শনে চমকৃত হইয়া ফরষ্টর তাঁহার জ্ঞান পরীক্ষার্থে তাঁহাকে নানা বিষয়ে ভূরি ভূরি প্রশ্ন করিতে লাগিলেন। পরিশেষে তৎকৃত উত্তর শ্রবণে সন্তুষ্ট হইয়া, নিজ আভিজাতিক চিহ্ন বর্ণন দ্বারা তাঁহার প্রার্থনা সিদ্ধ করিয়া, মুদ্রা গ্রহণ পূর্ব্বক দুই সুবর্ণ পুরষ্কার দিলেন এবং প্রস্থান কালে ডুবালকে, মধ্যে মধ্যে লুনিবিলে গিয়া সাক্ষাৎ করিতে কহিয়া দিলেন। পরে ডুবাল যখন যখন তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতেন প্রতিবারেই তিনি তাঁহাকে এক এক রজত মুদ্রা দিতেন। এই রূপে ফরষ্টরের নিকট মুদ্রা ও পুস্তক দান পাইয়া সেণ্ট এনের রাখালের পুস্তকালয়ে চার শত খণ্ড পুস্তক সংগৃহীত হইল। তন্মধ্যে বিজ্ঞানশাস্ত্র ও পুরাবৃত্ত বিষয়ক বহুতর উৎকৃষ্ট গ্রন্থ ছিল।
এইরূপে ভুবাল দ্বাবিংশতিবর্ষ বয়ঃক্রম প্রাপ্ত হইলেন; কিন্তু এ পর্যন্ত আপনার হীন অবস্থা পরীবর্ত্তের চেষ্টা এক দিবসের নিমিত্তেও মনে আনেন নাই। ফলতঃ, এখনও তিনি জ্ঞান ব্যতীত সর্ব্ব বিষয়েই রাখাল ছিলেন। প্রতিদিন গোচারণ কালে তরুতলে উপবিষ্ট হইয়া আপনার চারি দিকে ভূচিত্র ও পুস্তক সকল বিস্তৃত করতেন এবং ধেনুগণের রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে কিঞ্চিম্মাত্রও মনোেযোগ না রাখিয়া কেবল অধ্যয়ন বিষয়েই নিমগ্ন হইয়া থাকিতেন। ধেনু সকলও সচ্ছন্দে ইতস্ততঃ চরিয়া বেড়াইত।
একদা তিনি এইরূপে অবস্থিত আছেন এমন সময়ে সহসা এক সৌম্যমূর্ত্তি পুরুষ আসিয়া তাঁহার সম্মুখবর্ত্তী হইলেন। ডুবালকে দেখিয়া তাঁহার হৃদয়ে যুগপৎ কারুণ্য ও বিস্ময় রসের