বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
বলণ্টিন্ জামিরে ডুবাল।

 রাজকুমার এই উত্তর শ্রবণে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইলেন এবং রাজধানীতে প্রত্যাগমন পূর্ব্বক, ডুবালের যথানিয়মে সংপণ্ডিত ও সদুপদেশকের নিকট বিদ্যাধ্যয়ন সমাধানের নিমিত্ত, নিজ পিতা ডিউককে সম্মত করিয়া পোণ্টে মৌসলের জেমুটদিগের সংস্থাপিত বিদ্যালয়ে তাঁহাকে পাঠাইয়া দিলেন।

 ডুবাল তথায় দুই বৎসর অবস্থিতি করিয়া জ্যোতিষ,ভূগোল, পুরাবৃত্ত ও পৌরাণিক বিষয় সকল অধিক রূপে অধ্য়যন করিলেন। তদনন্তর ১৭১৮ খৃঃ অব্দের শেষভাগে ডিউকের পারিস যাত্রাকালে তদীয় সম্মতিক্রমে তৎসমাভিব্যাহারে গমন কহিলেন, এই অভিপ্রায়ে, যে তত্রত্য অধ্যাপকাদিগের নিকট শিক্ষা প্রাপ্ত হইতে পারিবেন। অনন্তর পর বৎসর তিনি তথা হইতে লুনিবিলে প্রত্যাগমন করিলে, ডিউক মহোদয় তাঁহাকে সহস্র মুদ্রা বেতনে আপনার পুস্তকালয়ের অধ্যক্ষ ও সাত শত মুদ্রা বেতনে বিদ্যালয়ে পুরাবৃত্তের অধ্যাপক নিযুক্ত করলেন এবং কোন বিষয়ে কোন নিয়মে বদ্ধ না করিয়া সচ্ছন্দে রাজবাটীতে অবস্থিতি করতে অনুমতি দিলেন।

 তিনি পুরাবৃত্তে যে উপদেশ দিতে লাগিলেন তাহাতে এমন সুখ্যাতি হইল যে, অনেকানেক বৈদেশিকেরাও শুশ্রূষাপরবশ ও শিষ্যস্থানীয় হইয়া লুনিবিলে আসিয়াছিলেন।

 ডুবাল স্বভাবতঃ অত্যন্ত বিনীত ও লোকরঞ্জন ছিলেন। আপনার পূর্ধ্বতন হীন অবস্থার কথা উত্থাপন হইলে তিনি, তদুপলক্ষে কিঞ্চিন্মাত্র লজ্জিত বা ক্ষুন্নমনা না হইয়া বরং সেই অবস্থায় যে, মনের সচ্ছন্দে কালযাপন করিতেন ও ক্রমে ক্রমে জ্ঞানের উপচয় সহকারে অন্থঃকরণ মধ্যে যে নব নব ভাবোদয় হইত সেই সমস্ত বর্ণনা করিতে করিতে অপর্যাপ্ত প্রীতি প্রাপ্ত হইতেন।

 তিনি প্রথমসংগৃহীত বহুসংখ্যক অর্থ দ্বারা সেণ্ট এনের আশ্রম পুননির্ম্মান করাইয়া দেন এবং তথায় আপনার নিমিত্তেও