এক গৃহ নির্ম্মাণ করান। অনন্তর, তরুতলে উপবিষ্ট হইয়া রাজকুমারগ ও তাঁহাদিগের অধ্যাপকদিগের সহিত যেরূপে কথোপকথন করিয়াছিলেন, কোন নিপুণতর চিত্রকর দ্বারা, সেই অবস্থাব্যঞ্জক এক আলেখ্য প্রস্তুত করাইলেন এবং ডিউকের সম্মতি লইয়া স্বপ্রত্যবেন্কিত পুস্তকালয়ে স্থাপন করিলেন। কিয়ৎকাল পরে জন্মভূমিদর্শনবসনাপরবশ হইয়া তথায় গমন করলেন এবং যে ভবনে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন তাহা তত্রত্য শিক্ষকের ব্যবহারার্থে প্রশস্তরূপে নির্ম্মাণ কৱাইলেন; আর গ্রামস্থ লোকের জলকষ্ট নিবারণার্থে নিজ ব্যয়ে অনেক কূপ খনন করাইয়া দিলেন।
১৭৩৮ খৃঃ অব্দে, ডিউকের মৃত্যুর পর তদীয় উত্তরাধিকারী লোরেনের বিনিময়ে টস্কানির আধিপত্য গ্রহণ করলে, রাজকীয় পুস্তকালয় ফ্লোরেন্স নগরে নীত হইল। ডুবাল তথায় পূর্ব্ববৎ পুস্তকাধ্যক্ষের কার্য্য নির্ব্বাহ করিতে লাগিলেন। তাঁহার অভিনব প্রভু, হাঙ্গরির রাজ্ঞীর পাণিগ্রহণ দ্বারা অত্যুন্নত সম্রাট্ পদ প্রাপ্ত হইয়া বিয়েনার পুরাতন ও নুতন টঙ্ক এবং পৃথিবীর অন্যান্য ভাগপ্রচলিত সমুদায় টঙ্ক সংগ্রহ করিবার বাসনা করলেন। ডুবালের টঙ্কবিজ্ঞান বিদ্যা বিষয়ে অত্যন্ত অনুরাগ ছিল। অতএব সম্রাট্ তাঁহাকে উক্ত টঙ্কালয়ের অধ্যক্ষ নিযুক্ত করিলেন এবং রাজপল্লীমধ্যে রাজকীয় প্রসাদের অদূরে তাঁহার বাসস্থান নির্দ্দিষ্ট করিয়া দিলেন। ডুবাল প্রায় সপ্তাহে এক দিন মহারাজ ও রাজমহিষীর সহিত ভোজন করিতেন।
এইরূপে অবস্থার পরিবর্ত্ত হইলেও তাঁহার স্বভাব ও চরিত্রের কিঞ্চিমাত্রও পরিবর্ত্ত হইল না। ইউরোপের এক অত্যন্ত বিষয়পরায়ণ নগরে থাকিয়াও, তিনি লোরেনের অরণ্যে যেরূপ ঋজুস্বভাব ও বিদ্যোপার্জ্জনে একাগ্র ছিলেন, সেইরূপই রহিলেন। রাজা ও রাজ্ঞী তাঁহার রমণীয় গুণগ্রামের নিমিত্ত অত্যন্ত প্রীত