ও প্রসন্ন ছিলেন এবং তাহার প্রমাণস্বরূপ তাঁহাকে ১৭৫১ খৃঃ অব্দে, আপন পুত্ত্রের উপাচার্য্যের পদ প্রদান করেন। কিন্তু তিনি কোন কারণবশতঃ এই সম্মানের পদ অস্বীকার করিলেন। রাজসংসার তাঁহার গতিবিধি এতে অল্প ছিল যে, কোন কোন রাজকুমারীকে কখন নয়নগোচর করেন নাই, সুতরাং তিনি তাঁহাদিগকে চিনিতেন না। সময় বিশেষে এই কথা উত্থাপন হইলে এক রাজকুমার কহিয়াছিলেন, ডুবাল যে আমার ভগিনীদিগকে জানেন না ইহাতে আমি আাশ্চর্য্য বোধ করি না, কারণ আমার ভগিনীরা পৌরাণিক পদার্থ নহেন।
এক দিবস তিনি অনুমতি গ্রহণ ব্যতিরেকে চলিয়া চাইতেছেন দেখিয়া, সম্রাট্ জিজ্ঞাসা করিলেন আপিনি কোথায় যাইতেছেন। ডুবাল কহিলেন গাব্রিলির গান শুনিতে। নরপতি কহিলেন সে ত ভাল গাইতে পারে না। কিন্তু বাস্তবিক সে ভাল গাইত, অতএব ডুবাল উত্তর দিলেন আমি মহারজের নিকট বিনয় বাক্যে প্রার্থনা করিতেছি এ কথা উচ্চ স্বরে কহিবেন না। রাজা কহিলেন কেন। ডুবাল কহিলেন কারণ এই যে, মহারাজের পক্ষে ইহা অতান্ত আবশ্যক যে সকলে আপনকার কথায় বিশ্বাস করে; কিন্তু এই কথায় কোন ব্যক্তি বিশ্বাস করিবেক না। ফলতঃ ডুবাল কোনকালেই প্রসাদাকাঙ্ক্ষা চাটুকার ছিলেন না।
এই মহানুভব ধর্ম্মাত্মা, জীবনের শেষদশা সচ্ছন্দে ও সম্মানপূর্ব্বক যাপন করিয়া ১৭৭৫ খৃঃ অব্দে, একাশীতি বৎসর বয়ঃক্রমে কলেবর পারতাগ করিলেন। যাঁহাৱা ডুবালকে বিশেষ রূপে জানিতেন এক্ষণে তাঁহারা সকলেই তাঁহার দেহাত্যয় বার্ত্তা শ্রবণে শোকাভিভূত হইলেন। এম ডি রোশ নামক তাঁহার এক বন্ধু তাঁহার মৃতুর পর তল্লিখিত সমুদায় গ্রন্থ সংগ্রহ করিয়া দুই থও পুস্তকে মুদ্রিত ও প্রচারিত করিলেন। মাম্সল এনষ্টেশিয়া সোলোফক্ নাম্নী সারকেশিয়া দেশীয় এক সুশিক্ষিত যুবতী,