দ্বিতীয় কাথিরিনের শয়নাগারপরিচারিকা ছিলেন। তাঁহার সহিত ডুবালের জীবনের শেষ ত্রয়োদশ বৎসর যে লেখালেখি চলিয়াছিল সে সমুদায়ও মুদ্রিত হইল। সকলে স্বীকার করেন তাহাতে উভয় পক্ষেরই অসাধারণ বুদ্ধিনৈপুণ্য প্রকাশ পাইয়াছে।
ডুবাল কোন কালে পরিচ্ছদ পরিপাটির চেষ্টা করেন নাই। অন্তিম কাল পর্য্যন্ত তাঁহার বেশ প্রায় পূর্ব্বের ন্যায় গ্রাম্যই ছিল। অতি সামান্য ব্যক্তির ন্যায় সামান্য রূপ পরিচ্ছদ পরিধান করিতেন। পরিচ্ছদ পরিপাটবিষয়ে তাঁহার যে এরূপ অনাদর ছিল তাহা কোন ক্রমেই কৃত্রিম নহে। তাঁহার জীবনের পূর্বাপর অপেক্ষণ করলে, স্পষ্ট বোধ হয় যে কেবল নির্ম্মল জ্ঞানালোকসহকৃত ঋজুস্বভাব বশতই এরূপ হইত। তিনি অতি দয়ালুস্বভাব ছিলেন। এই বিষয়ে এক উদাহরণ প্রদর্শিত হইলেই পর্যাপ্ত হইতে পারিবেক। তাঁহার এক জন কর্ম্মকর ছিল তিনি তাহার প্রতি সতত এরূপ সদয় ব্যবহার করিতেন যে কেহ তাহাকে তাঁহার ভৃত্য বলিয়া বোধ করিতে পারিত না। সে ব্যক্তি বিবাহিত পুরুষ; তাঁহার পরিচর্য্যার্থে অধিক রাত্রি পর্য্যন্ত তাঁহার নিকটে থাকিতে হইলে তাহার পক্ষে অত্যন্ত অসুবিধা হইত এই নিমিত্ত তিনি প্রতি দিন সকাল রাত্রেই তাহাকে গৃহ গমনের অনুমতি দিতেন এবং তৎপরে যথাকথঞ্চিৎ স্বহস্তেই সামান্য রূপ কিঞ্চিৎ আহার প্রস্তুত করিয়া লইতেন।
ডুবাল স্বীয় অসাধারণ পরিশ্রম ও অধ্যবসায় মাত্র সহায় করিয়া ক্রমে ক্রমে অনেকবিধ জ্ঞানোপার্জ্জন দ্বারা তৎকালীন গ্রায় সমস্ত ব্যক্তি অপেক্ষা সমধিক বিদ্যাবান্ হইয়াছিলেন। আর রাজসংসারে ব্যাপক কাল অবস্থিত করিলে মনুষ্যমাত্রই প্রায় আত্মশ্লাঘা ও দুষ্কিয়াসক্তির পরতন্ত্র হয়; কিন্তু তিনি তথায় অর্দ্ধশতাব্দীর অধিক কাল যাপন করিয়াছিলেন তথাপি অতিদীর্ঘ জীবনের অন্তিম ক্ষণ পর্যন্ত এক মুহুর্তের নিমিত্তেত্ত