গ্রোশ্যস।
গ্রোশ্যস ১৫৮৩ খৃঃ অব্দে, হলণ্ডের অন্তঃপাতী ডেল্ফট নগরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি শৈশব কালেই অসাধারণ বিদ্যোপার্জ্জন দ্বারা অত্যন্ত খ্যাতি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। অষ্ট বর্ষ বয়ঃক্রম কালে লাটিন ভাষাতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাব্য রচনা করেন। চতুর্দ্দশ বৎসরের সময় পণ্ডিতসমাজে গণিত, ব্যবহারসংহিতা ও দর্শনশাস্ত্রে বিচার করিতে পারিতেন। ১৫৯৮ খৃঃ অব্দে হলণ্ডের রাজদূত বর্নিবেল্টেৰ সমভিব্যাহারে পারিস রাজধানী গমন করেন। তথায় বুদ্ধিনৈপুণ্য ও সুশীলতা দ্বারা ফ্রন্সের অধিপতি সুপ্রসিদ্ধ চতুর্থ হেনরির নিকট ভূয়সী প্রতিষ্ঠা প্রাপ্তি হয়েন এবং সর্ব্বত্রই অদ্ভুত পদার্থ বলিয়া পরিগণিত ও প্রশংসিত হইয়াছিলেন। হলণ্ড প্রত্যাগমনের পর ব্যবহারজীবের ব্যবসায় অবলম্বন করলেন এবং সত্তর বৎসরের অধিক নয় এমন বয়সে ধর্ম্মাধিকরণে প্রথম বাৱেই এমন অসাধারণ রূপে আত্মপক্ষ সমর্থন করিয়াছিলেন যে তদ্দারা অতিপ্রভূত খ্যাতি ও প্রতিপত্তি লাভ করিলেন এবং অল্প কালমধ্যেই প্রাধান ব্যবহারাজীবের পদে অধিরূঢ় হইলেন।
বীরনগরের অধ্যক্ষের মেরি রিজর্সবর্গ নাম্নী এক কন্যা ছিল। গ্রোশ্যস ১৬০৮ খৃঃ অব্দে ঐ কামিনীর পাণিগ্রহণ করেন। এই রমণী রমণীয় গুণগ্রাম দ্বারা গ্রোশ্যসের যোগ্যা ছিলেন এবং গ্রোশ্যসের সহধর্ম্মিণী হওয়াতে তাঁহার গুণের সমুচিত সমাদর হইয়াছিল। কি সম্পত্তি, কি বিপত্তি, সকল সময়েই তাঁহারা পরস্পর অবিচলিত সদ্ভাবে ও যৎপরোনাস্তি প্রণয়ে কাল যাপন করিয়াছিলেন। কিঞ্চিং পরেই দৃষ্ট হইবেক নিগৃহত স্বামীর ক্লেশশান্তি বিষয়ে ঐ পতিপ্রাণা রমণীর ঐকান্তিক প্রণয়ের কি পর্যন্ত উপযোগিতা হইয়াছিল।