তিনি পরিশেষে চরিতার্থতা লাভ করিয়াছিলেন। প্রষঙ্গ বৈফল্য দ্বারা তাহার উৎসাহের উত্তেজনাই হইত।
যে পথে হশেলের প্রতি দেদীপ্যমান হইবেক, এক্ষণে তিনি সেই পথের পথিক হইলেন। ১৭৭৪ খৃঃ অব্দে, তিনি স্বহস্ত নির্মিত দূরবীক্ষণ দ্বারা শনৈশ্চর গ্রহ নিরীক্ষণ করিয়া অনির্ব্বচনীয় আনন্দ প্রাপ্ত হইলেন!, দূরবীক্ষণ নিৰ্মাণ ও জ্যোতিষসংক্রান্ত আবিদ্ভুিয়া বিষয়ে যে এতাবতী সাধীয়সী সিদ্ধিপবম্পরা ঘটিয়াছে এই তার সূত্রপাত হইল। হর্শেল অতঃ পর, বিদ্যানুশীলন বিষয়ে পূর্বাপেক্ষায় অধিকতর অনুরাগসস্পন্ন হইয়া সমধিক সময় লাভ বাসনায়, অর্থলাভপ্রতিরোধ স্বীকার কঢ়িয়াও স্বীয় ব্যাবসায়িক কর্ম্ম ও শিষ্যসংখ্যা ক্রমে ক্রমে সঙ্কোচ করিতে লাগিলেন এবং সর্ব প্রথম খাদৃশ যন্ত্র নির্মাণ করিয়াছিলেন অবকাশ কালে ব্যাপার বিরহিত হইয়া, তক্ষপেক্ষায় অধিকশক্তিক যন্ত্রনির্মাণে ব্যাপৃত রহিলেন। এইরূপে অচির কালের মধ্যেই উত্তরোত্তর উৎকৃষ্ট কতিপয় দূরবীক্ষণ নির্মিত হইল।
এই সকল যন্ত্রের মুকুর নির্মাণে তিনি অক্লিষ্ট তথ্যবসায়, প্রদর্শন করিয়াছিলেন। একটা দূরবীক্ষণেরু জন্যে মনোমত একখানি মুকুর প্রস্তুত করিবারুনমি, তিনি ক্রমে ক্রমে অন্যূন দুই শত খান গঠন ও একে একে তৎপরীক্ষণ অবিরক্তচিত্তে করিয়াছিলেন। যখন তিনি মুকুর নির্মাণে বসিতেন, ক্রমাগত দ্বাদশ চতুর্দশ হোর। পরিশ্রম করিতেন, মধ্যে এক মুহুর্তের নিমিত্তেও বিরত হইতেন না। অন্য কথা। দূরে থাকুক, অহাৱাদুররাধেও প্রারব্ধ কর্ম্ম হইতে হস্তোত্তালন করিতেন না। ঐ কালে তাঁহার সহদরা যৎকিঞ্চিৎ যাহা মুখে তুলিয়া দিতেন তন্মাত্রই আহার হইত। তিনি এই আশঙ্কা করিতেন যে, কৰ্ম আরম্ভ করিয়া