মধ্যে ক্ষণমাত্রও ভঙ্গ দিলে সমাক সমাধানের ব্যতিক্রম ঘটিতে পারে। তিনি মুকুর নির্মাণ বিষয়ে প্রচলিত নিয়মের নিতান্ত অনুবী না হইয়া স্বীয় বুদ্ধিকৌশলেই অধিকাংশ সম্পাদন করিতেন।
হর্শেল, ১৭৮১ খৃঃ অব্দের ১৩ই মার্চ, যে নূতন গ্রহের আবিষ্কিয় করেন, বোধ হয় সর্ব্বাপেক্ষা তারাই লোক সমাজে সমধিক বিখ্যাত হইয়াছেন। তিনি ক্রমাগত প্রায় দেড় বৎসর রীতিমত নভোগগুল পর্যবেক্ষণে ব্যাপৃত ছিলেন। দৈবযোগে উল্লিখিত দিবসের সায়ং সময়ে স্বহস্তবিনির্মিত এক অত্যুৎকৃষ্ট দুরবীক্ষণ নাতামগুলৈকদেশে প্রয়োগ করিয়া এক নক্ষত্র দেখিতে পাইলেন। বোধ হইল, তৎসন্নিহিত সমুদায় নক্ষত্র অপেক্ষা তাহার প্রভা স্থিরতর। উক্ত হেতু যুক্ত ও তদীয় আকারগত অন্যান্য বৈলক্ষণ্য দর্শনে সংশয়ান হইয়া, তিনি তদ্বিষয়ে সবিশেষ অভিনিবেশ পূর্ব্বক পর্যবেক্ষণ আরম্ভ করলেন। কতিপয় হোরার পর পুনৰ্বাৰ পর্যবেক্ষণ করাতে, উহা স্থান পরিত্যাগ করিয়াছে ইহা পষ্ট অনুভব করিয়া, তিনি সাতিশয় বিস্ময়াবিষ্ট হইলেন। পর দিন এই বিষয়ে অনেক সন্দেহ দূর হইল। প্রথমতঃ তাঁহার অন্তঃকরণে এই সংশয় উপস্থিত হইয়াছিল যে পূর্ব পূর্ব বারে যাহা দেখিয়াছি ইং। সেই নক্ষত্র কি না। কিন্তু ঐমাগত আর কয়েক দিবস পর্যবেক্ষণ করাতে তদ্বিষয়ক সমুদায় বৈধ অন্তহত হইল।
অনন্তর এই সমুদায় ব্যাপার রাজকীয় জ্যোতিব্বিদ ডাক্তার মাঙ্কিলিনের গোচর করিলেন। তিনি আদ্যোপান্ত বিবেচনা করিযা এই সিদ্ধান্থ করিলেন ইহা মূতন ধুমকেতু না হইয়া যায় না। কিন্তু আর কয়েক মাস ক্রমিক পর্যবেক্ষণ করাতে এই ভ্রান্তি মিরাকৃতহইল। এবং তখন স্পষ্ট বোধ হইল যে ইহা এক অনাবিষ্কৃত