তৎপরিবর্তে হশেলের সুবিখ্যাত পুত্রের হস্তবিনিৰ্মত স্মৃত্যুকৃষ্ট অন্য এক দূরবীক্ষণ তথায় স্থাপন করা গিয়াছে। ইহা দৈর্ঘ্যে পূর্ব্বযন্ত্রের অন্ধ্রকের অধিক নহে।
ইহা নির্দিষ্ট আছে এই প্রধান জ্যোতির্বিদ, স্বাভিলষিত বিদ্যার আলোচনা বিষয়ে এমন অনুরক্ত ছিলেন যে অনেক বৎসর পর্যন্ত নক্ষত্রদৰ্শনযোগ্য কালে কখনই শষ্যারূঢ়থাকিতেন না; কি শীত কি গ্রীষ্ম, সকল ঋতুতেই নিজ উদ্যানে অনাবৃত প্রদেশে প্রায় একাকা অবস্থিত হইয়া সমুদায় পর্যবেক্ষণ সমাধান করেন। তিনি এই সমস্ত গবেষণা দ্বারা দুরতৱবর্ত্তী নক্ষত্র সমূহের ভাব অবগত হইয়া তদ্বিষয়ের সবিশেষ বিধরণ স্বাভিপ্রায় সহিত পত্রারূঢ় করিয়া প্রচার করেন।
হর্শেল তৎকালজীবী প্রধান প্রধান জ্যোতির্ব্বিদবর্গের মধ্যে গণনীয় হইয়াছিলেন এবং পণ্ডিতসমাজে ও বাজিমন্নিধানে যথেষ্ট মর্যাদা পাইয়াছিলেন। ১৮১৬ খৃঃ অব্দে, যুবরাজ চতুর্থ জর্জ তাহাকে নাইটের পদ প্রদান করেন। হলে, প্রথমে সেনাসস্পকীয় তৃর্যসম্প্রদায়নিযুক্ত এক দরিদ্র বালকমাত্র ছিলেন। কিন্তু বহুমঙ্গলহেভূত জ্যোতির্বিদ্যার শ্রীবৃদ্ধি বিষয়ে দীর্ঘ কাল পর্যস্ত গরীয়সী আয়াসপরম্পরা স্বীকার করাতে, পরিশেষে এইরূপে পুরস্কৃত হইলেন। হর্শেল, মৃত্যুর কতিপয় বৎসৱ পুর্ব্ব পর্যন্তও জ্যোতিষিক পর্যবেক্ষণে ক্ষান্ত হয়েন নাই। অনন্তর ১৮২২ খৃঃ অব্দে আগষ্ট মাসের এয়োবিংশ দিবসে শাতি বর্ষ বয়ঃক্রম কালে লোকযাত্রা সম্বরণ করিলেন। তিনি যথেষ্ট বয়স ও যথেষ্ট মান প্রাপ্ত হইয়া এবং পরিবারের নিমিত্ত অপ্রমিত সম্পত্তি রাখিয়া তনু ত্যাগ করিয়াছেন। ঐ পরিবার, তদীয় অপ্রমিত ধন সম্পত্তির ন্যায় তদীয় অদ্ভুত ধীসম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইয়াছেন।