পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৪৭

বলিয়া যত আশা করিয়াছিলাম, সমুদায় এক কালে নির্মূল হইল। শাঙ্গরব কহিসেন মহারাজ! বিবেচনা করুন মহর্ষি কেমন সদাশয়তা প্রদর্শন করিয়াছেন। আপনি তাঁহার আগেচরে তদায় অনুমতিনিরপেক্ষ হইয়া তাহার কন্যার পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি তাহাতে কোষ বা অসন্তোষ প্রদর্শন না করিয়া বরং সাতিশয় সন্তুষ্টই হইয়াছেন এবং কন্যাকে আপনকার নিকট পাঠাইয়া দিয়াছেন। এক্ষণে প্রত্যাখ্যান করিয়া এরূপ সদাশয় মহানুভাবের অবমাননা করা মহারাজের কোন ক্রমেই কর্ত্তব্য নহে। আপনি স্থির চিত্তে বিবেচনা করিয়া কর্ত্তব্য নির্দ্ধারণ করুন।

শারদ্বত, শারব অপেক্ষা উতস্বভাব ছিলেন। তিনি কহিলেন অহে শার্ঙ্গ রব! স্থির হও, আর তোমার রথা বাগজাল বিস্তার করিবার প্রয়োজন নাই। আমি এক কথায় সকল বিষয়ের শেষ করিতেছি। এই বলিয়া শকুন্তলার দিকে মুখ ফিরাইয়া কহিলেন শকুন্তলে! আমাদের যাহা বলিবার বলিয়াছি; মহারাজ এইরূপ কহিতেছেন। এক্ষণে তোমার যাহা বক্তব্য পাকে বল এবং যাহাতে উহার প্রতীতি জন্মে এরূপ কর। তখন শকুন্তল। অতি মৃদুস্বরে কহিলেন যখন তাদৃশ অনুরাগ এতাদৃশ ভাব অবলম্বন করিয়াছে, তখন আমি পূর্ব্ব রত্তান্ত স্মরণ করা ইয়া কি করি। কিন্তু আত্মশোধন আবশক এই নিমিত্ত কিছু বলিতেছি। এই বলিয়া বাজাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন আর্ষপুত্র!Rishikesh Roy (আলাপ) এই মাত্র কহিয়া কিঞ্চিৎ স্তব্ধ হইয়া কহিলেন, যখন পরিণয়েই সন্দেহ জন্মিয়াছে তখন আর আপুত্র শব্দে সম্বোধন করা অবিধেয়। এই বলিয়া পুনর্ব্বার কহিলেন পৌষ! আমি সরলহৃদয়, ভাল মন্দ কিছুই জানি না। তৎকালে তপোবনে তাদৃশী অমায়িকত.দেখাইয়া ও ধর্ম্ম সাক্ষী করিয়া