আপনি পাতকের লাষৰ গৌরব বিবেচনা করিয়া উপস্থিত বিষয়ে কি কর্তব্য বলন। আমিই পূর্ব্বত্তা বিস্মৃত হইয়াহি, অথবা এই স্ত্রীই মিথ্যা বলিতেছেন; এমন সন্দেহ হলে, আমি দারত্যাগী হই, অথবা পরস্ত্রীস্পর্শপাতকী হই।
পুরোহিত শুনিয়া কিয়ৎক্ষণ বিবেচনা করিয়া কহিলেন ভাল, মহারাজ! যদি এরূপ করা যায়। খাজা কহিলেম কি আজ করুন। পুরোহিত কহিলেন ঋতিনয়া প্রসবকাল পর্যন্ত এই স্থানে অবস্থিতি করুন। যদি বলেন এ কথা বলি কেন? সিদ্ধ পুরুষেরা কহিয়াছেন আপনার প্রথম সন্তান চক্রবর্ত্তিলক্ষণক্রান্ত হইবেন। যদি মুনিদেহি সেইরূপ হন ইহাকে গ্রহণ করিবেন; নতুবা ইহার পিতৃসমীপ গমন স্থিরই রহিয়াছে। রাজা কহিলেন যাহা আঁপনাদিগের অভিরুচি। তখন পুরোহিত কহিলেন তবে আমি ইহাকে প্রসৰ কাল পর্যন্ত আমার গৃহে লইয়া রাখি। পরে শকুন্তলাকে বলিলেন বৎসে! আমার সঙ্গে আইস। শকুন্তলা, পৃথিবি! বিদীর্ণ হও আমি প্রবেশ করি, আর আমি এ প্রাণ রাখিব না, এই বলিয়া তোদম করিতে করিতে পুরোহিতের অনুগামিনী হইলেন।
সকলে প্রস্থান করিলে পর, রাজা নিতান্ত উন্মনা হইয়া শকুন্তলার বিষয়ই অননমনে চিন্তা করিতেছেন; এমন সময়ে “কি আশ্চর্য ব্যাপার! কি আশ্চর্য ব্যাপার!” এই আকুল বাক্য রাজার কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইল। তখন তিনি, কি হইল? কি হইল? বলিয়া, পাশ্ববর্তিনী প্রতিহারীকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন। পুরোহিত, সহসা বাজসমীপে আসিয়া, বিস্ময়োফুল লোচনে আকুল বচনে কহিতে লাগিলেন মহারাজ! বড় এক অদ্ভুত কাণ্ড হইয়া গেল। সেই স্ত্রী আমার সঙ্গে যাইতে যাইতে অপ্সরাতীর্থের নিকট আপন অদৃষ্টকে ভর্ৎসনা করিয়া,