বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষষ্ঠ অঙ্ক।

 নদীতে স্নান করিবার সময়, রাজদত্ত অঙ্গুরীয় শকুন্তলার অঞ্চলপ্রান্ত হইতে সলিলে ভ্রষ্ট হইয়াছিল। ভ্রষ্ট হইব মাত্র এক অতি বৃহৎ রোহিত মহস্যে গ্রাস করে। সেই মৎস্য কয়েক দিবস পরে এক ধীবরের জালে পতিত হইল। ধীবর, খণ্ড খণ্ড বিক্রয় করিবার মানসে ঐ মৎস্যকে নানা খণ্ডে বিভক্ত করিয়া, তদায় উদর মধ্যে অঙ্গুরীয় প্রাপ্ত হইল। অঙ্গুরীয় পাইয়া, পরম উল্লাসিত মনে, এক মণিকারের অপণে বিক্রয় করতে গেল। মণিকার, সেই মণিময় অঙ্গুরীয় রাজনামাঙ্কিত দেখিয়া, ধীবরকে চোর নিশ্চয় করিয়া নগরপালকে সংবাদ দিল। নগরপাল আসিয়া ধীবরকে পিছমোড়া করিয়া বাঁধিল এবং জিজ্ঞাসিল অরে সেটা চোর! তুই এই অঙ্গরীয় কোথায় পাইলি, বল? ধীবর কহিল মহাশয়! আমি চোর নহি। তখন নগরপাল কহিল তুই বেটা যদি চোর নহি, এ অঙ্গুরীয় কেমন করিয়া পাইলি? যদি চুরি করি নাই, রাজা কি সুব্রাহ্মণ দেখিয়া তোকে দান করিয়াছেন?

এই বলিয়া নগরপাল চৌকীদারকে হুকুম দিলে, চেকীদার তাহাকে প্রহার করিতে আরম্ভ করিল। ধীবর কহিল অরে চৌকীদার! আমি চোর নহি, আমাকে মার কেন? আমি কোন করিয়া এই আঙ্গ'টা পাইলাম বলিতেছি। এই বলিয়া কহিল আমি ধীবরজাতি, মাছ ধরিয়া বিক্রয় করিয়া জীবিকা নির্বাহ করি। নগরপাল শুনিয়া কোপাবিষ্ট হইয়া কহিল মর বেটা আমি তোর জাতি কল জিজ্ঞাসিতেছি না কি? এই অঙ্গুরীয় কেমন করিয়া তোর হাতে আসিল বল? ধীবর কহিল আজি সকালে আমি