শচীতীর্থে জাল ফেলিয়াছিলাম। একটা বড় রুই মাছ আমার জালে পড়ে। খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিয়া দেখিলাম তাহার উদয় মধ্যে এই আঙ্গটা ছিল। তার পর এই দোকানে আসিয়া দেখাইতেছি এমন সময়ে আপনি আসিয়া আমাকে ধরিলেন। আর আমি কিছুই জানি না। আমাকে মারিতে হয় মারুন, কাটতে হয় কাটুন; আমি চুরি করি নাই।
নগরপাল শুনিয়া অঘ্রাণ লইয়া দেখিল অঙ্গুৱীয়ে তামিষ গন্ধ নির্গত হইতেছে। তখন সে সন্দিহান হইয়া চৌকীদারকে কহিল তুই এ বেটাকে এই খানে সাবধানে বসাইয়া রাখ। আমি রাজবাটীতে গিয়া এই সকল বৃত্তান্ত রাজার চেৱ করি। রাজা সকল শুনিয়া যেমন অনুমতি করেন। এই বলিয়া নগরপাল অঙ্গুরীয় লইয়া রাজভবনে গমন করিল। কিয়ৎ ক্ষণ পবে প্রত্যাগত হইয়া চৌকীদারকে কহিল অরে! হরায় ধীবরের বন্ধন খুলিয়া দে; এ চোর নয়। অঙ্গুরীয় প্রাপ্তি বিষয়ে শাহা কহিয়াছে, বোধ হইতেছে তাহার কিছুই মিথ্যা নহে। আর রাজা উহাকে অৱীয়মূল্যের অনুরূপ এই মহামূল্য পুরস্কার দিয়াছেন। এই বলিয়া পুরস্কার দিয়া ধীবরকে বিদায় করিল এবং চৌকীদারকে সঙ্গে লইয়া স্বস্থানে প্রস্থান করিল।
এ দিকে অঙ্গুরীয় হন্তে পতিত হইবামাত্র শকুন্তলাস্তান্ত আদ্যোপান্ত রাজার স্মৃতিপথে আরূঢ় হইল। তখন তিনি, নিতান্ত কাতর হইয়া, যংপয়োনা বিলাপ ও পরিতাপ করিতে লাগিলেন এবং শকুলার পুনর্দশন বিষয়ে একান্ত হতাশ্বাস হইয়া সর্ব্ব বিষয়ে নিতান্ত নিরুৎসাহ হইলেন। আহাৱ, বিহার ও রাজকার্থপর্যালোচনা একবারেই পরিত্যক্ত হইল। শকুন্তপার চিন্তায় একান্ত মগ্ন হইয়া সর্ব্বদাই ম্লানবদনে কাল যাপন কারন; কাহারও সহিত বাক্যালাপ কয়েন না; কাহাকেও