তন ফ্যক্তি কখন ও এহণ করতে পারে না; না আমি কি নিমিত্ত প্রিয়াকে পরিত্যাগ করিলাম? এই বলিয়া অপূর্ণ নয়নে শকুন্তলাকে উদ্দেশ করিয়া কহিলেন প্রিয়ে। আমি তোমাকে অকারণে পরিত্যাগ করিয়াছি। অনুপালে আমার হৃদয় দগ্ধ হইয়া যাইতেছে, দর্শন দিয়া প্রাণ রক্ষা কর।
রাজা শোকাকুল হইয়া এইরূপ বিলাপ করিতেছেন এমন সময়ে চতুরিক সামী পরিচারিকা একচিত্রক আনয়ন করিল। রাজা চিত্তবিনোদছে ঐ চিত্রফলকে স্বহস্তে শকুন্তলারপ্রতি মূর্ত্তি চিত্রিত করিয়াছিলেন। মাধব্য দেখিয়া বিস্মজ্যোৎফুল্ল লোচনে কহিলেন বয়স! তুমি চিত্রফলকে কি অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করিয়াছ! দেখিয়া কোন ক্রমেই চিত্র বোধ হইতেছে না। আহা মরি, কি রূপ লাবণ্যের মাধুরী! কি অঙ্গসৌষ্ঠব! কি অমায়িক ভাব? মুখারবিলে কি সলজ্জ ভাব প্রকাশ পাইতেছে! রাজা কহিলেন সখে! তুমি প্লিয়াকে দেখ নাই এই নিমিত্ত আমার চিত্রনৈপুণ্যের এত প্রশংসা করিতেছ। যদি তাহাকে দেখিতে, চিত্র দেখিয়া কখনই সই হইতে না। তাহার অলৌকিক রূপ লাবণ্যের কিঞ্চিৎ অংশমাত্র এই চিত্রফলকে আবির্ভূত হইয়াছে এই বলিয়া পরিচারিকাকে কহিলেন চতুরিকে! বর্ত্তিক ও ধপাত্র ইয়া জাইম। অনেক অংশ চিত্রিত করিতে অবশিষ্ট আছে।
এই বলিয়া চতুরিকাকে বিদায় করিয়া দিয়া রাজা মাষ্যকে কহিলেন শখ! আমি স্বাদু শীতল নির্ম্মল জলপূর্ণ নদী পরিত্যাগ করিল, এক্ষণে কষ্ট হইয়া মৃগতৃষ্ণিকায় পিপশাস্তি করিতে উদ্যত হইয়াছি। প্রিয়াকে পাইয়া পরিত্যাগ করিয়া এক্ষণে চিত্রদর্শন বার চিত্ত বিনোদনের চেষ্টা পাইছেছি। মাধব কহিলেন বয়স! চিত্রফলকে আর কি লিখিবে? রাজা কহিলে