ভপোবন ও মালিনী নদীশিশির; যেরূপে ফুরিণগণকে তপোৰনে সচ্ছন্দে ইতস্ততঃ ভ্রমণ করতে এবং সুংসগণকে মালিনীতে জলক্রীড়া করিতে দৈখিয়াছিলাম সে সমুদায়ও চিত্রিত করিব। আর প্রথম দশম দিবসে প্রিয়ার কর্ণে শিরীষ পুস্পের যেরূপ আতরণ দেখিয়াছিলাম তাহাও লিখিব।
এইরূপ কথোপকথন হইতেছে এমন সময়ে প্রতিহারী আসিয়া রহিন্তে একপত্র সমর্পণ করিল। রাজা পাঠ করিয়া অত্যন্ত দুঃখিত হইলেম। তখন মাধব্য জিজ্ঞাসা করিলেন বয়স্য! কোথাকার পত্র, পত্র পাঠ করিয়া এত বিষ হইলে কেন? রাজা কহিলেন বয়স্য। ধনমিত্র নামে এক সাংঘাত্রিক সমুদ্র পথে বাণিজ্য করিত। সমুদ্রে নৌকা মগ্ন হইয়া তাহার প্রাণ বিভোগ হইয়াছে। সে ব্যক্তি নিঃসন্তান। নিঃসন্তানের ধনে বাজার অধিকার। এই মিমি, অমাত্য আমাকে তাহার সমুদায় সম্পক্তি আত্মসাং করিতে লিখিয়াছেন। দেখ, বয়ষ্য! নিঃসন্তান হওয়া কত দুঃখের বিষয়। নাম লোপ হইল, বংশ লোপ হইল, এবং বহু কষ্টে বহু কালে উপার্জিত ধন অন্যের হস্তে গেল। ইহা অপেক্ষা, আক্ষেপের বিষয় আর কি হইতে পারে! এই বলিয়া দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া কহিলেন আমার লোকান্তর হইলে আমারও নাম, বংশ ও রাজ্যের এই গতি হইবেক।
রাজার এইরূপ আক্ষেপ শুনিয়া মাধব্য কহিলেন বয়স্য! তুমি অকারণে এত পরিতাপ কর কেন? তোমার সন্তানের বয়স অতীত হয় নাই। কিছু দিন পরে তুমি অবশ্যই পুত্রমুখ নিরীক্ষণ করিবে। রাজা কহিলেন বয়স! তুমি আমাকে মিথ্যা প্রবোধ দাও. কেন? উপস্থিত পরিত্যাগ করিয়া অনুপস্থিত প্রত্যাশা করা মূঢ়ের কর্ম। আমি যখন নিতান্ত বিচেতন হইয়া