তবে ত মতে ছিল শত ক্ষত্রগণ।
পুনঃ ডাক দিয়া বলে পাঞ্চাল নন্দন॥
ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্র নানা জাতি।
যে বিন্ধুিবে লবে সেই কৃষ্ণা গুণবতী॥
এত শুনি উঠিলেন দ্রোণ মহাশয়।
শিরেতে উদীয় শোভে শুভ্র অতিশয়॥
শুভ্র মলয়জে লিপ্ত শুদ্র সর্থ অঙ্গ।
হস্তে ধনুর্বাণ শোভে পৃষ্ঠেতে নিষঙ্গ॥
ধক লইয়া দ্রোণ বলেন বচন।
যদি আমি এই লক্ষ্য বিল্কি কদাচন।
আমা যোগা নহে এই পদকুমারী।
সখার কুমারী হয় আপন ঝিয়ারী।
দুর্যোধনে কন্যা দিব যদি লক্ষ্য হানি।
এত বলি ধরিয়া তুলিলা বাম পাণি॥
তবে দ্রোণ লক্ষ্য দেখে জলের ছায়াতে।
অপুর্ব রচিল লক্ষ পদ নৃপেতে॥
পঞ্চ ক্রোশ উন্ধেতে সুবর্ণ মৎস্য আছে।
তার অর্ধ পথে রাধাচক্র ফিরিতেছে।
নিরবধি ফিরে চক্র অদ্ভুতনির্মাণ।
মধ্যে বন্ধ আছে মাত্র যায় এক বাণ॥
উন্ধে সৃষ্টি কৈলে মংসা না পাই দেখিতে।
জলেতে দেখিতে পাই চক্রচ্ছিদ্রপথে॥
অধোমুখে চাহিয়? থাকিবে মৎস্য লয়।
উক্ববাহু বিন্ধিবেক শুনিতে অশ্য।
টানিয়া ধনুক দ্রোণ জলচ্ছায়া চায়।
দেখিয়া সে হৃদয়ে চিত্তেন যদুরায়॥
পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৮৪
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্রৌপদীস্বয়ম্বর।
৭৫