তবে পার্থ প্রশমেন কৃষ্ণে যোড় হাতে।
পাঞ্চজন্য শঙ্খনাদ হয় যেই তিষ্ঠে।
দেখিয়া কল্যাণ বাক্য কহেন শ্রীপতি।
হাসিয়া বলেন তবে বলভদ্র প্রতি।
অবধানে দেখ হের রেবতীবল্লভ।
তোমারে প্রণাম করে মধ্যম পাণ্ডব।
রাম বলিলেন পার্থ বিন্ধিবেক লক্ষ্য।
কন্যা লয়ে যাইবারে না হইবে শক্য।
একা ধনঞ্জয় এত সমূহ বিপক্ষ।
সসৈন্যেতে আসিয়াছে রাজা এক লক্ষ।
অনুপমরূপ কৃষ্ণা অনঙ্গমোহিনী।
সবাকার মন হরিয়াছে সে ভাবিনী।
এই হেতু সবাই করিবে প্রাণপণ।
কন্যা লাগি দ্বন্দ করিবেক রাজগণ।
বিশেষে ব্রাক্ষণ বলি পার্থে সবে জানে।
এত লোকে কি করিবে পার্থ এক জনে।
কৃষ্ণ বলে অন্যায় করিবে দুষ্টগণ।
তুমি আমি বসিয়াছি কিসের কারণ।
মম বিদ্যমানেতে করিবে বলাৎকার।
জগন্নাথ নাম তবে কি হেতু আমার।
জগত জনের আমি অন্তে হই ত্রাতা।
দুর্ব্বলের বল আমি সর্ব্বফলদাতা।
যদি আমি সমুচিত ফল নাহি দিব।
তবে কেন জগন্নাথ এ নাম ধরিব।
সুদর্শনে ছেদিব সকল দুষ্টমতি।
পুর্ব্বে যেন নিঃক্ষত্রিয় কৈল ভৃগুপতি।
পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৯৩
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
মহাভারত