পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ১। সূ ৪৩ ] সমাধি পাদ। ‘ ૧ যদুপলভ্যতে, তত্তদবয়বিত্বেনাস্ত্ৰাতং তস্মাদস্ত্যবয়বী যে মহত্বাদিব্যবহারাপন্ন সমাপত্তের্নির্বিতর্কীয়া বিষয়ে ভবতি ॥ ৪৩ ৷ অনুবাদ । যে সময় শব্দের সঙ্কেত (শক্তি, এইট গরু ইত্যাদিভাবে শব্দ অর্থ ও জ্ঞানের অভেদ আরোপ ) ও স্মরণের (উক্ত সঙ্কেত মনে থাকার ) অপগম হইলে শব্দ ও পরার্থানুমানের বিকল্প অর্থাৎ শব্দ, অর্থ ও জ্ঞানের ভেদে অভেদ আরোপ তিরোহিত হয়, তখন সমাধি বৃত্তিতে স্বরূপে (শব্দ ও জ্ঞানের অমিশ্রণভাবে ) বর্তমান পদার্থ স্বীয় রূপেই ভাসমান হয়, এই অবস্থাকে নিৰ্বিবতর্ক সমাধি বলে। ইহাকে পরপ্রত্যক্ষ ( শ্রেষ্ঠ সাক্ষাৎকার ) বলে, এই বিতর্করহিত প্রত্যক্ষটী শ্রুত ও অনুমানের কারণ, উহা হইতেই শ্রুত ও অনুমান উৎপন্ন হয়, অর্থাৎ যোগিগণ সমাধি দ্বারা পদার্থ সকল পরিশুদ্ধ অর্থাৎ শব্দ ও জ্ঞানের অমিশ্রণরূপে পরিজ্ঞাত হইয়া বিকল্প করিয়া উপদেশ দিয়া থাকেন। যোগিগণের নিৰ্ব্বিকল্প জ্ঞান শ্রুত ও অনুমান জ্ঞানের সহচর নহে, অতএব যোগিগণের নিৰ্ব্বিতর্ক সমাধি হইতে উৎপন্ন জ্ঞান অন্ত প্রমাণের সঙ্কীর্ণ নহে। নিৰ্ব্বিতর্ক সমাধির লক্ষণ স্বত্র দ্বারা প্রকাশ করা যাইতেছে। শব্দের সঙ্কেত, শ্রুত অর্থাৎ আগম ও অনুমান ইহাদের জ্ঞানরূপ বিকল্প হইতে উৎপন্ন স্মৃতির অপগম হইলে চিত্তবৃত্তি বিষয়াকার ধারণ করিয়া জ্ঞানাত্মক স্বীয় প্রজ্ঞারূপ পরিত্যাগ করিয়াই যেন কেবল বিষয়াকারে পরিলক্ষিত হয় ইহাকে নিৰ্ব্বিতর্ক সমাধি বলে। শাস্ত্রকারগণ এইরূপেই ব্যাখ্যা করিয়াছেন, নিৰ্ব্বিতর্ক সমাধির বিষয় একত্ব বুদ্ধি উৎপাদন করে, ঐ পদার্থ বস্তু সৎ অর্থাৎ ভাবরূপ, উহ পরমাণুপুঞ্জ দ্বারা গঠিত, একটা অপর হইতে বিভিন্ন, উহা চেতনাচেতন ভেদে গবাদি ও ঘটাদিরূপে বিভক্ত, উভয়বিধই লোক অর্থাৎ দৃগু, (জ্ঞানের বিষয় ) হইয়া থাকে। $ সেই সংস্থানবিশেষ অর্থাৎ স্থল অবয়বী ভূতস্থল্ম সকলের সাধারণ ধৰ্ম্ম অর্থাৎ প্রত্যেকে পরিসমাপ্ত (দ্বিত্ব প্রভৃতির ন্যায় ব্যাসজ্যবৃত্তি নহে, যেমন উভয় বস্তুর জ্ঞান না হইলে দ্বিত্বের জ্ঞান হয় না, ভূতস্থক্ষের ধৰ্ম্ম ঘটাদি অবয়বী সেরূপ নহে, উহা প্রত্যেক ভূতস্বশ্নেই আছে, নতুবা সমস্ত অবয়ব দর্শন না হইলে" অবয়বীর উপলব্ধি হইত না)। ঐ ধৰ্ম্ম ভূতস্থক্ষের আত্মভূত অর্থাৎ অভিন্ন (অথচ কথঞ্চিৎ ভিন্ন, নৈয়ায়িকের ন্যায় পাতঞ্জলমতে অবয়ব ও অবয়বীর ভেদ