পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ পাতঞ্জল দর্শন । [* २ । नू १ । ] বলিয়াছেন ; আকার, শীল ও বিদ্যাদিরূপে বুদ্ধি হইতে অত্যন্ত বিভিন্ন পুরুষকে জানিতে না পারিয়া মোহবশতঃ ঐ বুদ্ধিকেই সাধারণে আত্মা বলিয়া-জানে। পুরুষের আকার (স্বরূপ ) সদা বিশুদ্ধি, শীল (স্বভাব ) উদাসীনতা ও বিদ্যা চৈতন্ত । বুদ্ধির আকার অবিশুদ্ধি, শীল অনুদাসীন অর্থাৎ বন্ধন ও জড়তা অর্থাৎ চৈতন্তের অভাব ইত্যাদি। ৬ ! মন্তব্য । নিৰ্ম্মল চিদাকাশে এই অস্মিতাই কালমেঘের সঞ্চার, ইহাকেই হৃদয়গ্রন্থি বলে, প্রথমতঃ অবিদ্যা দ্বারাঁ আত্মার স্বরূপ আবৃত হয়, অনন্তর উক্ত অস্মিতার আবির্ভাব হয়, এই অস্মিতাকে অজ্ঞানের বিক্ষেপশক্তি বলিলেও চলে। এই অস্মিতারূপ হৃদয় বন্ধন কখন ব্যক্তভাবে কখন বা অব্যক্তভাবে অনাদি কাল হইতে চলিয়া আসিয়াছে, এই নিমিত্তই জীবকে অনাদি বলা হইয়া থাকে। আত্মদর্শন তীক্ষ অস্ত্রে ঐ বন্ধন ছেদ হয় “ভিদ্যতে হৃদয়গ্ৰন্থিশ্বিন্তস্তে সৰ্ব্বসংশয়াঃ । ক্ষীয়ন্তে চান্ত কৰ্ম্মাণি তস্মিন দৃষ্টে পরাবরে” অর্থাৎ আত্মদর্শন হইলে হৃদয়গ্ৰন্থি (অস্মিতা) ভেদ হয়, সমস্ত সংশয় বিদূরিত হয়, এবং ভোগের জনক ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম ক্ষয় হয়। সুত্রে শক্তিপদ থাকায় বুদ্ধি ও পুরুষের যোগ্যতারূপ সম্বন্ধ বলা হইয়াছে, প্রকৃতি পুরুষের সংযোগ হইতে স্বষ্টি হয়, এই সংযোগশব্দে উক্ত যোগ্যতা বুঝায়, নতুবা উভয়েই বিভু, সুতরাং অন্তভাবে সংযোগ হইতে পারে না । এই অনাদি সম্বন্ধ হইতেই স্থষ্টি হয়। বুদ্ধি ( প্রকৃতি) ও পুরুষের একত্রে মীলনকেই জীবভাব বলে। জীবশদে কেবল জড় বুদ্ধি বা কেবল অসঙ্গ পুরুষ বুঝায় না, কিন্তু “চিজড়সমষ্টিজীবঃ” অর্থাৎ চেতন ও জড়ের মিশ্রণই জীব ॥ ৬ ॥ সূত্র। স্থখানুশয়ী রাগঃ ॥ ৭ ॥ ব্যাখ্য' । সুখামুশয়ী (সুখমন্থশেতে বিষয়ীকরোতি ইতি মুখামুশয়ী সুখগোচরঃ ইতাৰ্থ: ) রাগ (আসক্তি: কামঃ তৃষ্ণা ) ॥ ৭ ॥ তাৎপর্য্য। মুখ বা হুখের উপায়ে কামনাকে রাগ বলে। ৭। ভাৰ্য। মুখাভিজ্ঞস্ত স্বখামুন্থতিপূর্বঃ মুখে তৎসাধনে বা যে গৰ্দ্ধত্ত্বষ্ণালোভ: স রাগ ইতি ॥ ৭ ॥ -