পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ২। সু ১০ । ] সাধন পাদ । (t হয় না । যাহার ঐ ভয় হয় সে কখনই বর্তমান জন্মে মরণছঃখ অনুভব করে নাই । মরণ হইলে আর বর্তমান জন্ম কোথায় ? তবেই স্বীকার করিতে হইবে ঐ ভীত ব্যক্তি জন্মান্তরে মরণছুঃখ অবশ্যই অনুভব করিয়াছে, সুতরাং জন্মান্তর সিদ্ধ হইল। কেবল জন্মিয়াছে এরূপ গোবৎস আপনা হইতেই মাতৃস্তন্ত পান করে, স্তন্যপান করিলে ক্ষুধা নিবৃত্তি হয় ইহা সে কখনই জানে নাই। এইট অভীষ্ট্রের সাধক এরূপ জ্ঞান না হইলে তাহাতে প্রবৃত্তি জন্মে না, সুতরাং স্বীকার করিতে হইবে গোবৎস পূৰ্ব্বজন্মে স্তন্যপান করিয়া জানিয়াছে উহাতে ক্ষুধা নিবৃত্তি হয় তাই বিনা উপদেশে নিজেই প্রবৃত্ত হইয়া থাকে। স্থষ্টি প্রবাহ তুনাদি, সুতরাং প্রথম জন্মে কিরূপে প্রবৃত্তি হইয়াছে এরূপ আশঙ্কা হইবে না। সিদ্ধান্তে সকল জীবেই সকল জন্ম পরিগ্রহ করিয়াছে, জীবের প্রথম জন্ম ধরা যায় না । জন্মান্তরের সংস্কার প্রমাণ করিতে গিয়া শঙ্করাচাৰ্য্য একটা দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিয়াছেন, বানরশিশু গর্ভ হইতেই দুইখানি হাত বাহির করিয়া বৃক্ষের ক্ষুদ্র শাখা ধারণ করে, এদিকে বানরী বিপরীতদিকে সরিয়া যায়, এইরূপে বানরী প্রসব করে । ভগবানের আশ্চৰ্য্য লীলা, বানর শিশুকে ডাল ধরিতে কে শিখাইল ? মার্জার প্রভৃতি জীবন নিৰ্ব্বাহ করিতে যতগুলি সংস্কারের প্রয়োজন, মার্জার জন্ম পরিগ্রহ করিলে প্রাক্তন উক্ত সংস্কার সমুদায় আপনা হইতেই উদ্বুদ্ধ হয়। সর্প দেখিলে নকুল বিবাদ করে, মুষিক দেখিলে মার্জারে ধরিতে যায় ইহা কেহই শিখাইয়া দেয় না । জন্মান্তরের অসংখ্য সস্কার থাকিলেও কেবল জীবন নিৰ্ব্বাহোপযোগী সংস্কারগুলির উদ্বোধ হয়। সেই সেই জীবনই তত্ত্বৎ সংস্কারের উদ্বোধক, সুতরাং সংস্কার সাধারণের উদ্বোধ হয় না। একটা মার্জার জন্মের পর শতজন্ম ব্যবধানে পূনৰ্ব্বার মার্জার জন্ম হইলেও মার্জার সংস্কারেরই উদ্বোধ হইয়া থাকে, এ সমস্ত বিষয় চতুর্থ অধ্যায়ের নবম স্বত্রে প্রকাশিত হইবে ॥ ৯ ॥ ; সূত্র। তে প্রতিপ্রসবহেরা: সূক্ষা; ॥ ১০ ॥ ব্যাখ্যা । তে (ক্লেশাঃ) স্বহ্মা (সংস্কাররূপা; ) প্রতিপ্রসবহেরা (প্রতিপ্রসবেন প্রলয়েন চিত্তবিনাশেন হেয়া উচ্ছেদ্মাঃ ) ॥ ১০ ৷