পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ২। সূ১৫ । ] সাধন পাদ । సిఫిసె ও মোহ হয়, অতএব দ্বেষ ও মোহৰশতঃও কৰ্ম্মাশয় হইয়া থাকে । ( যদিচ যুগপৎ রাগ, দ্বেষ ও মোহ তিনের আবির্ভাব হয় না, তথাপি একের আবির্ভাবকালে অপরগুলি বিচ্ছিন্ন হয় এ কথা চতুর্থ স্বত্রে বলা হইয়াছে)। প্রাণীর পীড়ন না করিয়া উপভোগ সম্ভব হয় না, অতএব হিংসাকুত ও শারীর (শরীর সম্পাদ্য) কৰ্ম্মাশয় হয়, (এইটাকে শারীর বলিয়া বিশেষ করায় পূৰ্ব্বে মানসিক ও বাচিক বলা হইয়াছে বুঝিতে হইবে)। বিষয়মুখ অবিস্ত একথা পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে। তৃপ্তিবশতঃ ভোগের বিষয়ে ইন্দ্রিয়গণের উপশাস্তিকে ( প্রবৃত্তির অভাবকে ) মুখ বলে, চঞ্চলতাবশতঃ ইঞ্জিয়গণের অশাস্তিকে দুঃখ বলে। ভোগের অভ্যাস । পুনঃ পুনঃ অনুশীলন ) দ্বারা ইন্দ্রিয়ের বৈতৃষ্ণ্য অর্থাৎ বিষয়বৈরাগ্য হয় না, কারণ ভোগাভ্যাসের সঙ্গে সঙ্গেই অনুরাগ ও ইন্দ্রিয়ের কৌশল (ভোগসাধনে দক্ষতা) বৃদ্ধি হইতে থাকে, অতএব ভোগাভ্যাসট মুখের কারণ নহে। বৃশ্চিকের বিষ হইতেই ভয় পাইয়া যেমন সপের মুখে পতিত ও দষ্ট হইয়া অধিকতর দুঃখ অনুভব করে, তদ্রুপ সুখকামনা করিয়া বিষয় সেবা করিয়া পরিশেষে মহাদুঃখপঙ্কে নিমগ্ন (উদ্ধারের উপায় থাকে না বলিলেও চলে ) হইতে হয়। প্রতিকুলস্বভাব এই পরিণাম দুঃখ মুখভোগ সময়েও যোগিগণকেই ক্লেশ প্রদান করে। তাপদুঃখ কিরূপ তাহা বলা যাইতেছে, সকলেরই দ্বেষসহকারে চেতন ও অচেতন দ্বিবিধ উপায় দ্বারা তাপ ( দুঃখ ) অনুভূত হয়, এ স্থলে দ্বেষ জন্য কৰ্ম্মাশয় হইয় থাকে। স্বখের উপায় প্রার্থনা করিয়া শরীর, বাক, ও চিত্ত দ্বারা ক্রিয়া করিয়া থাকে, ইহাতে অপরের প্রতি অনুগ্রহ নিগ্রহ উভয়ই সম্ভব, এই পরামুগ্রহ ও পরপীড়া দ্বারা ধৰ্ম্ম ও অধৰ্ম্মের সঞ্চয় হয়, এই কৰ্ম্মাশয় লোভ বা মোহবশতঃ হইয়া থাকে, ইহাকেই তাপ দুঃখ বলা যায়। সংস্কার দুঃখ কি তাহ বলা ছে, মুখামুভব হইতে এইটা মুখ বা মুখের কারণ এইরূপ সংস্কার হয়, ঐরূপে দুঃখামুভব হইতেও সংস্কার জন্মে, এইরূপে কৰ্ম্মফল সুখ বা দুঃখের অনুভব হইয়া শরীর পরিগ্রহের পর কৰ্ম্মাশয়সমূহ উৎপন্ন করে, অর্থাৎ মুখের অনুভব হইতে সুখসংস্কার জন্মে, সংস্কার হইতে স্থতি হয়, স্মৃতি হইতে রাগ জন্মে, এই রাগ হইতে কায়িক বাচিক ও মানসিক ব্যাপার জন্মে, তাহা হইতে ধৰ্ম্ম ও অধৰ্ম্মরূপ কৰ্ম্মাশয় হয়, উহা হইতে জাতি, আয়ু ও ভোগরূপ বিপাক হয়, পুনৰ্ব্বার সংস্কার জন্মে। এইরূপে অনাদি প্রবহমান দুঃখধারা প্রতিকুলভাবে । > ፃ . .