পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পা ২। সূ ১৫ । ] সাধন পাদ । లి) এবং কোনওটার নূ্যনতারূপ বিশেষ থাকায় এইটা মুখ এইটা দুঃখ বা এইট মোহ ইত্যাদিভাবে বিশেষরূপে ব্যবহার হইয়া থাকে। অতএব বিবেকী যোগীর পক্ষে বিষয়মাত্রই দুঃখাবহ । এই মহান অনধুরাশি দুঃখ সমুদায়ের উৎপত্তির কারণ অবিদ্যা অর্থাৎ ভ্রমসংস্কার, এই অবিদ্যার উচ্ছেদ কেবল তত্বজ্ঞান দ্বারাই হইয়া থাকে , যেমন চিকিৎসাশাস্ত্র রোগ, রোগনিদান, আরোগ্য ( প্রতীকার ) ও ভৈষজ্য অর্থাৎ ঔষধ এই চারি অধ্যায়ে বিভক্ত তদ্রুপ যোগশাস্ত্রও চারি অধ্যায়ে বির্ভূক্ত ; যেমন, সংসার, সংসারের হেতু, মুক্তি ও মুক্তির উপায়। দুঃখ প্রচুর সংসার হেয় অর্থাৎ পরিত্যাগের যোগ্য, হেয় সংসারের হেতু প্রধানও পুরুষের সংযোগ, উক্ত সংযোগ বা তৎকার্য্য দুঃখাদিরূপ সংসারের আত্যন্তিক ( পুনৰ্ব্বার না হয় এরূপ) নিবৃত্তির নাম হান, হানের উপায় সমাদর্শন অর্থাৎ বুদ্ধি ও পুরুষের বিবেকঙ্কান। হানকর্তা অর্থাৎ মুক্তির অধিকারী পুরুষের স্বরূপ ত্যাগের বা গ্রহণের যোগ্য হইতে পারে না, কারণ, তাহাকে ত্যাগ করিলে উচ্ছেদবাদ (শূন্যবাদ, কিছুই না থাকা ) হইয়া পড়ে, গ্রহণ করা বলিলে হেতুবাদ অর্থাৎ জন্য বলা হয় তাহাতে মুক্তি অনিত্য হইয়া পড়ে ; হান ও উপাদান উভয়ের নিরাস করিলে শাশ্বতবাদ অর্থাৎ নিত্যত্ব স্থাপন হয়। এইটাই সম্যগৃদশন, এইভাবে যোগশাস্ত্র চারি অধ্যায়ে বিভক্ত ॥১৫ মন্তব্য । সুখলাভ করিব এরূপ চেষ্ট সকলেরই হইয়া থাকে, এই চেষ্টায় প্রতিক্ষণ বিষয়জালে আবদ্ধ হয়, কিন্তু বিষয়ভোগে সুখ কোথায় ? ঐ যে দোর্দণ্ড প্রতাপ ধনকুবের মহারাজকে দেখিয়া মনে হইতেছে ঐ ব্যক্তিই সুখী, অপরের দৃষ্টিতে সুখী হইতে পারে সত্য, কিন্তু, উহার নিজ দৃষ্টিতে ঐ ব্যক্তি মুখী কি দুঃখী তাহ অপরে কিরূপে জানিবে ? অপরে যদি দরিদ্র থাকিয়াই ধনশালী মহারাজ হইতে পারে স্বীকার করিতে পারা যায় সে অবস্থায় মহারাজ মুখী, দরিদ্রও মহারাজ বিরুদ্ধ পদার্থ, এক সময়ে উভয় হইতে পারে না, দরিদ্র থাকিলে মহারাজ নয়, মহারাজ হইলেও দরিদ্র নয়, তখন ( মহারাজ্য পাইলে ) দরিদ্রের মনের ভাব পৃথক্ হইয়া পড়ে, আশা উচ্চ হইয়া যায়, পূৰ্ব্বাবস্থার দূরবর্তী অভাব সমস্ত নিকটবর্তী হয়, তখন পূৰ্ব্বাপেক্ষাও যেন অধিকতর দরিদ্র হইয়া পড়ে, অভাব জ্ঞানই দুঃখের কারণ, তবে আর জগতে মুখী কে হইবে ? কাহার না অভাব জ্ঞান আছে ? “ন বিত্তেন তৰ্পণীয়ো, মনুষ্যঃ,” কঠোপনিষদ