পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[পা ২। সূ২৩ ৷ ] সাধন পাদ | S(t> হইলেই বন্ধাভাব হয়, উহাকেই মুক্তি বলে। দর্শন (জ্ঞান) উৎপন্ন হইলে বন্ধের কারণ অদর্শনের নাশ হয় বলিয়া দর্শনজানকে মোক্ষের কারণ বলা হুইয়াছে। সম্প্রতি আদর্শন পদার্থ বুঝাইবার নিমিত্ত উহার যে কএকটা ভেদ হইতে পারে তাহা দেখান হইতেছে, (আদর্শন শব্দের ঘটক নঞের পর্যুদাস অর্থ গ্রহণ করিয়া প্রথম বিকল্প) এই অদর্শন-কি গুণের অধিকার অর্থাৎ কাৰ্য আরম্ভ শক্তি ?। ১ । (নঞের প্রসজ্য প্রতিষেধ অর্থ গ্রহণ করিয়া দ্বিতীয় বিকল্প হইতেছে) যে চিত্ত দ্বারা শব্দাদি ও সর্বপুরুষ ভেদরূপ বিষয় স্বামী পুরুষকে দেখান হইয়াছে তাদৃশ চিত্তের অনুৎপত্তি, আপনাতে উক্ত দ্বিবিধ দৃপ্ত বিদ্যমান থাকিয়াও দর্শন না হওয়াকে কি আদর্শন বলে ? ( আত্মজ্ঞান ও ভবিষ্যৎ ভোগ স্বক্ষভাবে বুদ্ধিতে থাকে)। ২। (নঞের পযুদাস অর্থ গ্রহণ করিয়া তৃতীয় বিকল্প ) আদর্শন শব্দে কি গুণের অর্থবত্তা অর্থাৎ ভোগ ও অপবর্গরূপ পুরুষাৰ্থ সাধন করা বুঝায় ?। ৩। (পর্যুদাস পক্ষ লইয়াই চতুর্থ বিকল্প) অবিদ্যা (মিথ্যাসংস্কার ) নিজের আশ্রয় চিত্তের সহিত বিদেহাদি মুক্তি বা প্রলয়কালে নিরুদ্ধ থাকিয়া স্বকীয় আশ্রয় চিত্তের উৎপত্তির বীজ হয়, অর্থাৎ পুনৰ্ব্বার তাদৃশ চিত্ত জন্মে, ইহাকেই কি অদর্শন বলে। ৪ । ( পর্যুদাস পক্ষেই পঞ্চম বিকল্প ) প্রধানে বর্তমান স্থিতিসংস্কার অর্থাৎ সাম্য পরিণাম পরম্পরার অবসান হইয়া গতিসংস্কার অর্থাৎ মহদাদিরূপে বিকার আরম্ভের শক্তির অভিব্যক্তিকেই কি আদর্শন বলে ? এ বিষয়ে উক্ত আছে “প্রধান কেবল স্থিতির অর্থাৎ সদৃশ পরিণামের কারণ হইলে মহদাদি বিকার জন্মাইতে পারে না, সুতরাং অপ্রধান ( প্রধীয়তে জন্ততেহনেনেতি প্রধানং ) হইয় উঠে। এবং কেবল গতির অর্থাৎ মহদাদিরূপে বিসদৃশ পরিণামের কারণ হইলেও বিকার সকল নিত্য অর্থাৎ সৰ্ব্বদাই জায়মান হয় এ পক্ষেও প্রধান (প্রধীয়তে লীয়তে যত্ৰ তং প্রধানম্) হইতে পারে না, উভয়রপে অর্থাৎ কখনও সদৃশ পরিণামে প্রলয়, কখনও বা বিসদৃশ পরিণামে স্বষ্টি হয় বলিয়া প্রধান শব্দের বুৎপত্তি ( প্রধীয়তে জন্ততে কাৰ্য্যজাতং যেন ইতি, প্রধীয়তে লীয়তে কাৰ্য্যজাতং যত্র ইতি চ, প্রপূৰ্ব্বক ধাধাতোঃ কৰ্ত্তরি অধিকরণে চ অনটু) রক্ষা হয়, অন্যথা কেবল গতির বা কেবল স্থিতির কারণ বলিলে প্রধান শব্দের অর্থ থাকে না, দুইটাই প্রধান শব্দের অর্থ, একটাকে পরিত্যাগ করিলে চলিবে না। পরমাণু প্রভৃতি কল্পিত অন্য অন্য কারণেও ঐরূপ