পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ২। সূ ২৫ । ] সাধন পাদ । ১৫৫ বৃত্তি না হইলেই মুক্তি হয় )। স্বমতে ( আচার্য্যের মতে) চিত্তনিবৃত্তি অর্থাৎ লিঙ্গশরীর বিনাশকেই মুক্তি বলে। অতএব নাস্তিকের উল্লিখিত চিত্তবিভ্রম অস্থানে অর্থাৎ বিনা কারণেই জন্মিয়াছে ॥ ২৪ ॥ - s মন্তব্য। দেহাদি জড়বর্গে আত্মজ্ঞান ও উহা হইতে তাদৃশ সংস্কার, এই অনাদি প্রবৰ্ত্তিত সংস্কারই সমস্ত অনর্থের মূল, উক্ত সংস্কার থাকিলেই প্রকৃতি পুরুষের সংযোগ দ্বারা সংসার উৎপন্ন হয়। বহির্বস্তুতে যত অধিক পরিমাণে অহঙ্কার মমকার থাকিবে আত্মজ্ঞান লাভ করিতে ততই বিলম্ব হইবে, তাই আত্মদর্শনাভিলাষী যোগিগণ বহির্বস্তু হইতে সম্পূর্ণ অপস্থত হইবার চেষ্টা করিয়া থাকেন। “ঈষদসমাপ্তেী কল্পদেশুদেশীয়াঃ” এই সূত্রানুসারে আচাৰ্য্য হইতে কিঞ্চিৎ নূ্যন এই অর্থে দেশীয় প্রত্যয় করিয়া আচাৰ্য্যদেশীয় পদ হইয়াছে। আচার্য্যের লক্ষণ বায়ুপুরাণে উক্ত আছে, আচিনোতি চ শাস্ত্রার্থমাচারে স্থাপন্নত্যপি । স্বয়মারভতে যম্মাদাচাৰ্য্যস্তেন চোচ্যতে ॥ অর্থাৎ যে ব্যক্তি শাস্ত্রার্থ সম্যক্ অবগত হইয়া স্বয়ং আচার অনুষ্ঠান করেন এবং শিষ্যদিগকে আচার অভ্যাস করাইয়া থাকেন তাহাকে আচাৰ্য্য বলে। আত্মজ্ঞান বৰ্ত্তমান থাকিতে মুক্তি হয় না কারণ ঐ জ্ঞানের (চিত্তবৃত্তির ) ছায়া পুরুষে পড়ায় পুরুষ স্বকীয় স্বচ্ছভাবে থাকিতে পারে না। এই নিমিত্তই মরিয়া মুক্তি দিবে এইভাবে উপহাস হইয়াছে। সিদ্ধান্তে আত্মজ্ঞান হইলে অবিদ্যা নিবৃত্তি হয় সুতরাং চিত্তাদিরও নাশ হয় ॥ ২৪ ॥ • ভাষ্য। হেয়ং দুঃখং হেয়কারণঞ্চ সংযোগাখ্যং সনিমিত্তমুক্তং অতঃপরং হানং বক্তব্যম। সূত্র। তদভাবৎ সংযোগাভাবে হানং তদৃশেঃ কৈবল্যম্ ॥ ২৫ ॥ ব্যাখ্যা। তদভাবাৎ(তস্তা অবিদ্যায় অভাবাং জ্ঞানেনোচ্ছেদাং) সংযোগভাৰঃ (পূৰ্ব্বোক্তভোগ্যভোক্তৃত্বসম্বন্ধাভাবঃ) হানং (আত্যস্তিকে বন্ধোপরম: )