পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>\లు পাতঞ্জল দর্শন [ পা ২। সূ৩ । ] অহিংসাদি বৃত্তি স্থির হইয়াছে কি না তাহার পরীক্ষা ফল দ্বারাই হইতে পারে, অহিংসা বৃত্তি স্থির হইলে তাদৃশ যোগীর সন্নিধানে হিংস্ৰক জস্বগণেরও শত্রুত থাকে না ইত্যাদি। এই অহিংসা বৃত্তির উৎকর্ষ বিধান করিবার নিমিত্তই সাংখ্যশাস্ত্ৰকৰ্ত্ত বৈধহিংসাকেও (বলিদান ) পাপের কারণ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । । অধৰ্ম্মের মূল মিথ্যা কথা, সংসারে মিথ্যা কথা না থাকিলে অধৰ্ম্ম আপনা হইতেই চলিয়া যায়। নিশাকালে চোরে চুরি করে, লম্পটে পরদার করে, প্রাতঃকালে তাহাদিগকে রাত্রির বৃত্তান্ত জিজ্ঞাসা করিলে তাহাদের যদি সত্য কথা বলিতে হয় তবে কি আর পাপাচরণ হইতে পারে, কখনই নহে। সত্য কথা বলিলে যদি কাহারও প্রাণবিয়োগ সম্ভব হয় এমত স্থলে বাক্যের প্রয়োগ করিবে না । মনে মনে পরের দ্রব্যের অভিলাষ থাকিলে অস্তেয় রক্ষা হয় না, প্রথমতঃ মানসিক ব্যাপার হইয়া পরে কায়িক ও বাচিক ব্যাপার হইয়া থাকে, মনের ব্যাপার (ইচ্ছা ) ন হইলে কায়িক বাচিক ব্যাপার হয় না, তাই অস্পৃহারূপ অস্তেয় প্রদর্শিত হইয়াছে। লোকলজ্জা বা ধাৰ্ম্মিকতার ভাণ করিয়া প্রকাশু্যে স্ত্রীসঙ্গ ত্যাগ করিয়া অহৰ্নিশ মনে মনে ঐ ভাবনায় জর্জরিত হওয়া ভয়ানক পাপ । পাপ, বা পুণ্যবিষয়ে কত সময় যাইতেছে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। ব্রহ্মচৰ্য্য রক্ষা করিতে হইলে মৈথুনপ্রসঙ্গে সমস্ত ব্যাপার পরিত্যাগ করিতে হয়, তাই ভাষ্যকার “গুপ্তেন্দ্রিয়স্ত” বলিয়া প্রয়োগ করিয়াছেন। দক্ষসংহিতায় আট প্রকার মৈথুনের অঙ্গ নির্দিষ্ট আছে, “স্মরণং কীৰ্ত্তনং কেলিঃ প্রেক্ষণং গুহাভাষণম। সঙ্কল্পোহধ্যবসায়শ্চ ক্রিয়ানিবৃত্তিরেব চ। এতস্মৈথুনমষ্টাঙ্গং প্রবদন্তি মনীষিণঃ। ব্রহ্মচর্য্যের' স্বরূপ জানিতে হইলে ঋষ্যশৃঙ্গের প্রথম অবস্থা ও শুকদেবের জীবনচরিত অনুসন্ধান করা উচিত। অপরিগ্রহ বিষয়-বৈরাগ্যের নামান্তর। বিষয় অর্জনে কতদূর দোষ তাহ ভূক্তভোগী সকলেই অবগত আছেন। প্রাণান্ত করিয়া অর্জিত ধন তত্ত্বরে লইয়া যাইবে সৰ্ব্বদা এইরূপ দুশ্চিন্তা থাকে এইটা রক্ষাদোষ। উপভোগ করিলে সঞ্চিত ধনের শীঘ্রই ক্ষয় হয় ইহার অনুশীলনকে ক্ষয়দোষ দর্শন বলে। ভোগ করিতে