পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ প। ২। সূ ৪১ ৷ ] সাধন পাদ। .دمطد করে না ; তখন অতিশয় অশুচি পরকীয় শরীর স্পর্শ করিবে ইহা কখনই সম্ভব নহে ॥ ৪০ ॥ মন্তব্য। ঘৃণাবোধ না হইলে বৈরাগ্য জন্মে না। বৈরাগ্য না হইলে পরিত্যাগের বাসনা হয় না, শরীরকে সুন্দর বোধ হয়, ইহার প্রধান কারণ উহাতে আত্মাভিমান, এই অভিমানু থাকাতেই নিজশরীরের উপকারক পরকীয় শরীরকেও সুন্দর বলিয়া বোধ হয় । শরীর হইতে আত্মাকে পৃথক্ করিয়া জানিতে পারিলে সে সুন্দর ভাব আর থাকে না, তখন শরীরের বহুবিধ দোষ দর্শন হয়, কিরূপে একেবারে শরীরের সম্বন্ধ ত্যাগ হইবে তাহার চেষ্ট হয়, শরীর ত্যাগকেই মুক্তি বলে। “স্থানাদ্বীজাদ ইত্যাদি ভাস্যে শরীরের দোষ পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে ॥ ৪০ ৷ ভাষ্য । কিঞ্চ । সূত্র । সত্বশুদ্ধিসোঁমনস্তৈকাগ্র্যেন্দ্ৰিয়জয়াত্মদর্শনযোগ্য अनेि घ् ॥ 8* ॥ to ব্যাখ্যা । শৌচাদিত্যমুবৰ্ত্ততে, শৌচাৎ সত্বশুদ্ধিঃ চিত্তশুদ্ধিঃ, সোঁমনস্তং মনসঃ প্রসাদঃ. ঐকাগ্র্যং স্থিরচিত্তত্বং, ইন্দ্ৰিয়জয়ঃ ইন্দ্রিয়াণাং বশীকরণম্, আত্মদর্শনযোগ্যত্বং স্বরূপসাক্ষাৎকারসামর্থ্যঞ্চ উপজায়তে ॥ ৪১ ৷ তাৎপৰ্য্য। পূৰ্ব্বোক্তরূপে শৌচসিদ্ধি হইলে সত্বশুদ্ধি প্রভৃতি পাচটার উৎপত্তি হয় ॥ ৪১ ৷ ভাষ্য। ভবন্তীতি বাক্যশেষঃ। শুচেঃ সত্বশুদ্ধিঃ, ততঃ সোঁমনস্তং “তত ঐকা গ্র্যং, তত ইন্দ্ৰিয়জয়ঃ, ততশ্চাত্মদর্শনযোগ্যত্বং বুদ্ধিসত্বস্ত ভবতি, ইত্যেতচ্ছেীচস্থৈৰ্য্যাদধিগম্যত ইতি ॥ ৪১ ৷ অনুবাদ। “ভবস্তি" এইটা স্বত্রবাক্যের শেষরূপে বুঝিতে হইবে। বহিঃ শুদ্ধি হইতে (রজঃ ও তমোমল বিদূরিত হইয়া) সত্বশুদ্ধি অর্থাৎ চিত্ত নিৰ্ম্মল হয়, অনস্তুর সৌমনস্ত অর্থাৎ মনের প্রসন্নত হয়, প্রসন্ন হইলে ঐকাগ্র্য অর্থাৎ বিক্ষেপের অভাবরূপ স্থিরতা জন্মে, চিত্তস্থির হইলে ইন্দ্রিয়গণেরও জয় হয়, অনন্তর চিত্তের আত্মজ্ঞানলাভের শক্তি জন্মে। এই সমস্ত শৌচসিদ্ধির ফল ॥৪১