[ পা ১ । সূ ১ । ] সমাধি পাদ | يا( হইয়া উহাদের প্রতিকারের উপায় চিন্তা করিয়াছিলেন। তিনি কোনও এক বেদবেদাঙ্গবেত্তা প্রসিদ্ধ মুনির পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চরের ন্তায় অলক্ষিতভাবে আসিয়াছিলেন এই নিমিত্ত চরক নামে পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়েন। সেই চরকাচাৰ্য্য বেদাচাৰ্য্য বৃহস্পতির দ্যায় শোভা পাইয়াছিলেন, উনি সহস্ৰ বদন অনন্তদেবের অংশ, উহা দ্বারাই রোগের বিনাশ হয়। পাতঞ্জল-ভোজবৃত্তিতেও এই কথা স্পষ্ট আছে, “শব্দানামনুশাসনং বিদধতা পাতঞ্জলে কুৰ্ব্বতা বৃত্তিং রাজমৃগাঙ্কসংজ্ঞকমপি ব্যাতন্বতা বৈদ্যকে। বাক্চেতোবপুষাং মলঃ ফণিভূতাং ভত্ৰেব বেনোদ্ভূতস্তম্ভ ঐরণরঙ্গমল্লনৃপতেৰ্বাচে अबडू*জলাঃ ” অর্থাৎ ভোজরাজ শব্দানুশাসন, পাতঞ্জলবৃত্তি ও রাজমৃগাঙ্ক নামক বৈদ্যকগ্রন্থ প্রণয়ন করিয়া ফণিভূৎ ভৰ্ত্ত অনন্তদেবের ন্যায় বাক্য, চিত্ত ও শরীরের মল বিদূরিত করিয়াছেন, ইহা দ্বারা বুঝাইতেছে অনন্তদেবের যোগশাস্ত্রে কোনও গ্রন্থ আছে। স্থানান্তরে উল্লেখ আছে “যোগেন চিত্তস্ত পদেন বাচাং মলং শরীরস্ত তু বৈদ্যকেন। যোহপাহরৎ পন্নগরাজ এষঃ * * * অর্থাৎ পন্নগরাজ অনন্তদেব যোগশাস্ত্র দ্বারা চিত্তের, পদশাস্ত্র ব্যাকরণের (ফণিভাস্থ্যের ) দ্বারা ভাষার ও বৈদ্যক শাস্ত্র দ্বারা শরীরের মল (ব্যাধি) অপহরণ করিয়াছেন। এক্ষণে ভাষ্যকারের আশীৰ্ব্বাদ শ্লোক, ভাব প্রকাশ, ভোজবৃত্তি ও উল্লিখিত শ্লোক বিশেষরূপে পর্যালোচনা করিলে ; স্পষ্টতঃ বোধ হইবে চরক পতঞ্জলি প্রভৃতি অনন্তদেবের অবতার। o, সূত্র। অর্থ যোগানুশাসন ॥ ১ ॥ ব্যাখ্যা । অৰ্থ (অধিকারার্থে ) যোগানুশাসনং (যোগস্তানুশাসনং যোগোপদেশকশাস্ত্রং, যোগঃ সমাধি, যুজসমাধাবিতি ধাতোর্ভাবে ঘঞ, অনুশিষ্যতে ব্যাখ্যায়তেইনেনেতি অনুশাসনং শাস্ত্ৰং, যোগশাস্ত্রমারব্ধমিতি, আশাস্ত্রপরিসমাপ্তি যদুবক্ষ্যে তৎ সৰ্ব্বং যোগবিষয়কমিত্যমুসন্ধেয়ম্) ॥ ১ ॥ তাৎপৰ্য্য। যোগশাস্ত্র আরব্ধ হইল, ইহার পর যাহা কিছু বলা হইবে সমস্তই যোগ বিষয়ে বুঝিতে হইবে ॥ ১ ॥ ভাষ্য। অথেত্যয়মধিকারার্থ, যোগামুশাসনং নাম শাস্ত্রমধিকৃতং বেদিতব্যম যোগঃ সমাধি: স চ সাৰ্ব্বভৌমশ্চিত্তস্ত ধৰ্ম্মঃ
