পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ &b". পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ২। সূ ৫৫ ৷ ] তাৎপৰ্য্য। পূৰ্ব্বোক্ত . প্রত্যাহার সিদ্ধি হইলে ইন্দ্রিয়গণ সৰ্ব্বতোভাবে বিজিত হয় ॥ ৫৫ ॥ ভাষ্য। শব্দাদিম্বব্যসনং ইন্দ্ৰিয়জয় ইতি কেচিৎ, সক্তিব্যসনম ব্যস্তাত্যেনং শ্রেয়স ইতি । অবিরুদ্ধা প্রতিপত্তি ন্যায্যা । শব্দাদিসম্প্রয়োগঃ স্বেচ্ছয়েতন্তে , রাগদ্বেষাভাবে সুখদুঃখশুন্তাং শব্দাদিজ্ঞানমিন্দ্রিয়জয় ইতি কেচিৎ !, চিত্তৈকাগ্র্যাদপ্রতিপত্তিরেবেতি জৈগীষব্যঃ, ততশ্চ পরমাত্বিয়ং বশ্যতা যচ্চিত্তনিরোধে নিরুদ্ধানীন্দ্রিয়াণি, নেতরেন্দ্ৰিয়জয়বৎ উপায়ান্তরমপেক্ষন্তে যোগিন ইতি ॥ ৫৫ ॥ অনুবাদ । কেহ কেহ বলেন শব্দাদিবিষয়ে অব্যসন অর্থাৎ রাগের অভাব ইন্দ্ৰিয়জয়, সক্তি অর্থাৎ অনুরাগকেই ব্যসন বলে, কেননা এই আসক্তিই জীবগণকে মুক্তিপথ হইতে দূরে নিক্ষেপ করে। (অন্তরূপে বগুত৷ এইরূপ ) শ্রুতি স্মৃতি প্রভৃতির অবিরোধ রূপে শব্দাদির সেবাকেই বস্ত্যতা বলে, ইহাই’ ন্যায্য অর্থাৎ স্যায়ের অনুগত। কেহ কেহ বলেন ইচ্ছানুসারে অর্থাৎ বিষয়ের অধীন না হইয়া স্বতন্ত্রভাবে শব্দাদিবিষয়ের উপভোগই ইন্দ্ৰিয়জয়। অপর কেহ বলেন রাগ দ্বেষ না থাকার দরুন সুখদুঃখরহিতভাবে শব্দাদি জ্ঞানই ইন্দ্ৰিয়জয়। ভগবান জৈগীষব্য বলেন চিত্তের একাগ্রতা জন্মিলে শব্দাদি বিষয়ের অপ্রতিপত্তি অর্থাৎ জ্ঞানের অভাবই ইন্দ্ৰিয়জয়। এই নিমিত্তই ইহাকে পরমাবষ্ঠতা অর্থাৎ পূৰ্ব্বোক্ত বহুত চতুষ্টয় হইতে শ্রেষ্ঠভাবে বস্ততা বলা হইয়াছে, কেননা চিত্তের নিরোধ হইলে যোগীর ইন্দ্রিয়গণ সেই সঙ্গেই নিরুদ্ধ হইয়া যায়, অন্তভাবে ইন্দ্রিয়জয়ের ন্যায় প্রযত্ন দ্বারা সম্পাদিত অন্তবিধ উপায়ের অপেক্ষ রাখে না, অর্থাৎ যতমানসংজ্ঞা নামক বৈরাগ্যে একটা ইন্দ্রিয়জন্ম হইলেও অপর ইন্দ্রিয়জয়ের নিমিত্ত চেষ্টা করিতে হয়, এস্থলে সেরূপ আবস্তক করে না, একই প্রযত্নে চিত্ত ও ইন্দ্রিয় উভয়ের নিরোধ হয় ॥ ৫৫ ৷ মন্তব্য । অপকৃষ্ট না থাকিলে উৎকৃষ্টের পরিচয় হয় না, “অপরমা” না থাকিলে “পরমা” বলা যায় না, তাই ভাষ্যকার অপরমাবস্ততা চতুষ্টয় প্রথমতঃ উল্লেখ করিয়াছেন, শব্দাদিতে অব্যসন ইত্যাদি। বিষয়সমূহে সঞ্চরণ করিয়া জাগৃত্বকভাবে অবস্থান করা অপেক্ষ বিষয় হইতে একেবারে পৃথক্ থাকাই