পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ৩। সু ১৩। ] বিভূতি পাদ। ২১৭ হইতে অপগত হয় (অতীত হয়), কেন না ইহার নিত্যত খণ্ডন করা হইয়াছে, অপগত হইয়াও (স্বল্পভাবে ) থাকে, কেন না ইহার বিনাশ প্রতিষেধ হইয়াছে, অর্থাৎ বিনষ্ট হইলে কিছুই থাকে না এরূপ বলা হয় নাই, ধৰ্ম্ম বা কাৰ্য্যরূপে বিনষ্ট (তিরোহিত) হয়, ধৰ্ম্মী বা কারণরূপে অবস্থিত হয় । কার্য সকল সংসর্গ অর্থাৎ স্বকারণে লয়বশতঃ স্বল্প বলিয়া ব্যবহৃত হয়. এই স্বগ্নতাবশতঃই অনাবির্ভাবকালে উপলব্ধি হয় না। লক্ষণ হইয়াছে পরিণাম যার তাদৃশ ধৰ্ম্ম ( ঘটাদি ) অব অর্থাৎ কালত্রয়ে বর্তমান, তন্মধ্যে অতীতকালে অবস্থিত হইয়াও ভবিষ্যৎ ও বর্তমান লক্ষণ । বিরহিত হয় না ( ঘটাদি অতীতকালে স্বক্ষভাবে ভবিষ্যৎ ও বর্তমান থাকে ), এইরূপে অনাগত ( ভবিষ্যৎ ) লক্ষণযুক্ত হইয়া বর্তমান ও অতীত লক্ষণ বিরহিত হয় না, এইরূপে বৰ্ত্তমান-লক্ষণবিশিষ্ট হইয়া অতীত ও অনাগত লক্ষণ বিরহিত হয় না ; দৃষ্টান্ত, যেমন কোনও একটী কামুক পুরুষ একটা স্ত্রীতে অনুরক্ত থাকে বলিয়া অন্ত স্ত্রীগণে র্তাহার অনুরাগ থাকে না এরূপ বলা যায় না, বিশেষ এই পূৰ্ব্বোক্ত স্ত্রীতে উক্ত কামুকের অম্বুরাগ বর্তমান থাকে, ঐ কালে অন্ত স্ত্রীতে সূক্ষ্মভাবে অবস্থান করে । এই লক্ষণ পরিণামে কেহ কেহ (নৈয়ায়িক ) আশঙ্কা করেন, যদি বৰ্ত্তমান কালেও অতীত অনাগত থাকিয়া যায় তবে অধ্ব (কালের) সন্ধর না হইবার কারণ কি ? সমকালেই বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ কেন না হইবে ? ইহার উত্তর এই, ধৰ্ম্ম সকলের ধৰ্ম্মত্ব অপ্রসাধ্য অর্থাৎ পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে, নুতন করিয়া সাধন করিতে হইবে না, ধৰ্ম্মত্ব সিদ্ধ হইলে তাহাতে লক্ষণভেদও অবগু স্বীকার করিতে হইবে, কেবল বৰ্ত্তমান সময়েই ইহার ধৰ্ম্মত্ব এরূপ নহে, তাহা হইলে চিত্ত ক্রোধকালে রাগ-ধৰ্ম্মবিশিষ্ট হইতে পারে না, কেননা, ক্রোধকালে রাগের আবির্ভাব নাই। আরও কথা এই, একটা বস্তুতে অতীতাদি লক্ষণত্রয়ের এককালে আবির্ভাব সম্ভব হয় না, আপন আপন অভিব্যঞ্জক সহকারে ক্রমশঃ আবির্ভাব হয় (ইহাতে অধ্বসঙ্কর অথবা অসদ্ধৎপত্তি কোন দোষেরই সম্ভাবনা নাই)। এ বিষয়ে পঞ্চশিখাচাৰ্য্য বলিয়াছেন, “আবির্ভূতরূপে রূপাতিশয় অর্থাং ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মাদি আটটা ও স্বখাদিবৃত্তি ইহারা পরস্পর বিরোধী হয়, অর্থাৎ একটার আবির্ভাবকালে অপরটার আবির্তাৰ ( ফলজননে আভিমুখ্য ) হইতে পারে না, সামষ্টি অর্থাৎ চিত্ৰৰূপী २br