পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পা ৩। স্ব ১৩।] বিভূতি পাদ। ২১৯ রূপে বৈলক্ষণ্য হয়, ( কেবল নিত্যত মাত্রই কেীটস্থ্যের লক্ষণ নহে, কিন্তু ঐকান্তিক নিত্যতাই কেটস্থ্য, উহা কেবল চিতিশক্তি পুরুষেরই আছে, সত্বাদিগুণত্রয় নিত্য হইলেও তাঁহাদের ধৰ্ম্মের (কাৰ্য্যের) আবির্ভাব তিরোভাব বশতঃ কৌটস্থ্য প্রসঙ্গ হয় না)। যেমন বিনাশশীল আদিমৎ সংস্থান অর্থাৎ পৃথিব্যাদি পঞ্চমহাভূত, তদপেক্ষায় অবিনাশি শব্দতন্মাত্রাদির ধৰ্ম্মমাত্র অর্থাৎ বিকার, এইরূপ লিঙ্গ অর্থাৎ মহত্তত্বও আদিমৎ ও বিনাশশীল, উহা অবিনাশি সাদি গুণত্রয়ের ধৰ্ম্মমাত্র অর্থাৎ বিকার, এই মহত্তত্বদিরূপ ধৰ্ম্মেই বিকার অর্থাৎ পরিণাম ংজ্ঞা হয়। উক্ত বিষয়ে উদাহরণ এইরূপ মৃত্তিকারূপ ধৰ্ম্মী পিণ্ডাকার ধৰ্ম্ম হইতে ঘটরাপ ধৰ্ম্মান্তর পরিগ্রহ করিয়া ধৰ্ম্মপরিণাম লাভ করে, অর্থাৎ মৃৎপিণ্ডের ধৰ্ম্মপরিণাম মৃদঘট। ঘটরাপ ধৰ্ম্ম অনাগত লক্ষণ পরিত্যাগ করিয়া বৰ্ত্তমান লক্ষণ প্রাপ্ত হয়, এইট লক্ষণপরিণাম। ঐ ঘট নুতন ও পুরাতন ভাব পরিগ্রহ করিয়া প্রতিক্ষণেই অবস্থাপরিণাম প্রাপ্ত হইতেছে। কোনও একটা ধৰ্ম্মীর এক ধৰ্ম্ম হইতে অন্য ধৰ্ম্ম পরিগ্রহ করাকে অবস্থা বলা যাইতে পারে ; এইরূপ ধৰ্ম্মেরও এক লক্ষণ হইতে অন্ত লক্ষণ পাওয়াকে অবস্থা বলা যায়, অতএব একটা (অবস্থা ) দ্রব্য-পরিণামকেই ভেদ করিয়া ( গোবলীবর্দ্ধন্তায়ে সামান্ত বিশেষভাবে ) ধৰ্ম্ম, লক্ষণ ও অবস্থারূপে নির্দেশ করা হইয়াছে। অন্যান্ত পদার্থস্থলেও এইরূপ যোজনা করিতে হইবে। ধৰ্ম্ম, লক্ষণ ও অবস্থা এই ত্ৰিবিধ পরিণামের একটাও ধৰ্ম্মীর স্বরূপ অতিক্রম করে না, অর্থাৎ সকলেই ধৰ্ম্মীতে অনুগত থাকে, অতএব ধৰ্ম্মও ধৰ্ম্মীর অভেদবশতঃ তিনটীকেই কেবল ধৰ্ম্মপরিণাম বলা যাইতে পারে । প্রশ্ন-পরিণাম কাহাকে বলে ? উত্তর, অবস্থিত অর্থাৎ কোনওরূপে স্থির পদার্থের পূৰ্ব্বধৰ্ম্ম (ধৰ্ম্ম লক্ষণ অবস্থা যাহা কিছু) বিনিবৃত্ত হইয়া ধৰ্ম্মান্তর উৎপত্তি হইলে তাহাকে পরিণাম বলে ॥ ১৩ ॥ মন্তব্য । একখণ্ড সুবর্ণকে পিটিয়া বলয়রূপে পরিণত করা যায়, ঐ বলয়কে পিটিয়া কুণ্ডল করা যায়, এইরূপে অসংখ্যরূপে পরিণাম হইতে পারে। সুবর্ণরূপ ধৰ্ম্মীর বলয় কুণ্ডল প্রভৃতি ধৰ্ম্মপরিণাম । স্বর্ণকারের ব্যাপারের পূৰ্ব্বে বলয় ছিল না, বলয়ের তখন অনাগত ( ভবিষ্যৎ ) ভাব, স্বর্ণকার ডায়মলকাটা বলয় প্রস্তুত করিল, রং মিশাইল, বলয়ের তখন বড়ই সৌভাগ্য, বৎসরকাল গৃহিণীর হস্ত