পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.९२० পাতঞ্জল দর্শন । [পা ৩। সূ ১৩। ] উজ্জল করিল, কিন্তু কিছুকাল পরে আর সে শোভা নাই, তখন গৃহিণীর পছন্দ হইল না, ভাঙ্গিয়া কুণ্ডল করা হইল। যতকাল গৃহিণীর হস্তে ছিল ঐটা বলয়ের সমুদাচার অর্থাৎ বর্তমান ভাব। কুণ্ডল হইলে তখন বলয় অতীত হইয়াছে, বলয় আর দেখা যায় না। এটী বলয়রূপ ধৰ্ম্মের অনাগত, বর্তমান ও অতীতরূপ লক্ষণ পরিণাম। বর্তমানটাও নুতন (উক্সল অবস্থায় ) ও পুরাতন (মলিন অবস্থায় ) ভাব অবলম্বন করে ইহাকেই অবস্থা পরিণাম বলে। বস্তমাত্রেরই উক্ত নুতম পুরাতন ভাব চেষ্টা ব্যভিরেকেই হইয়া থাকে, চেষ্ট দ্বারাও কেহ উহ! নিবারণ করিতে পারে না। আপনার অথবা বিকারের দ্বারা অবস্থা পরিণাম হয়, যাহার বিকার নাই সেই কুটস্থ নিত্য পুরুষের অবস্থা পরিণাম নাই, নূতন পুরাতন ভাব নুতন কাল অপেক্ষা করিয়াই গৃহীত হইয়া থাকে, গুণত্রয় নিত্য হইলেও উহার পরিণাম আছে, সদৃশ পরিণাম হইতে বিসদৃশ পরিণাম (মহদাদি ) প্রাপ্তি কালকে এবং বিসদৃশ পরিণাম হইতে সদৃশ পরিণামপ্রাপ্তি (প্রলয়ের প্রথম ক্ষণ) কালকে নূতন বলিয়া গ্রহণ করিয়া উহাকে অপেক্ষা করিয়া পুরাতন বলিয়া নির্দেশ করা যাইতে পারে। পুরুষ চিরকালই সমান, তাহার নূতন ভাব গৃহীত হইতে পারে না। এই নিমিত্ত পুরুষকে কুটস্থনিত্য ও গুণত্রয়কে পরিণামনিত্য বলা যায় । পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব স্বত্র সকলে নাম করিয়া তিন প্রকার পরিণাম বলা না হইলেও বস্তুতঃ তাহদের স্বরূপ প্রদর্শিত হইয়াছে। ধৰ্ম্মীর অবস্থাসত্ত্বে পূৰ্ব্ব ধৰ্ম্ম তিরোধান পূর্বক ধৰ্ম্মান্তরের আবির্ভাবকে ধৰ্ম্মপরিণাম বলে। নিরোধপরিণামস্থত্রে ধৰ্ম্মপরিণাম বলা হইয়াছে, ব্যুথান ও নিরোধ উভয়ই চিত্তের ধৰ্ম্ম, চিত্তরূপ ধৰ্ম্মীর অবস্থিতি সত্বে উক্ত উভয়বিধ ধৰ্ম্মের আবির্ভাব ও তিরোভাবকে চিত্তরূপ ধৰ্ম্মার ধৰ্ম্মপরিণাম বলে, নিরোধ পরিণামস্থত্রে লক্ষণ পরিণামও বলা হইয়াছে, লক্ষণশব্দে কালভেদ বুঝায়, একটী স্বল্প কাল ক্ষণাদি দ্বারা তৎকালীন বস্তুকে আর একটা স্বল্পকালীন বস্ত হইতে পৃথক করা যাইতে পারে। পূৰ্ব্বে সুবর্ণবলয় ও কুণ্ডল দৃষ্টান্ত দ্বারা অচেতনের পরিণাম দেখান হইয়াছে, সচেতনের পরিণামও ঐরূপ বুখিতে হইবে, পৃথিৱ্যাদি পঞ্চভূতরূপ ধৰ্ম্মীর গবাদি ধৰ্ম্মপরিণাম, গবাদি ধৰ্ম্মের অনাগত, বর্তমান ও অতীতরূপ